‘ব্রিটবাংলানিউজ’ অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক রোকসানা হক তারিন এর সরকারবিরোধী প্রচারণা রীতিমতো নাশকতার উস্কানির আকার ধারণ করেছে। রোক সানা হকের সম্পাদনায় এই পত্রিকাটি বরাবরই বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে বিকৃত রূপে প্রচার করে আসছে। এছাড়াও তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এটি স্পষ্ট যে তিনি নানা ভাবে নানা সময়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগত আক্রমণসহ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে আসছিলেন।
কিন্তু এবছর ১৪ ইআগস্ট ২০২৩ তারিখে আজীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর তার এই সব মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চরম আকার ধারণ করেছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১ লা এপ্রিল ২০২২ তারিখে যুক্তরাজ্যের ‘সিলেটি অনলাইন’চ্যানেলে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, মামুনুল হক সহ আরো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের অবিলম্বে মুক্তি দানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তার একটি বক্তব্য অনলাইন মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।কয়েকদিনের ব্যবধানে ১.৫মিলিয়নের ওপর ভিউ হয়এবং সিলেটি অনলাইন ছাড়াও অনেক মিডিয়া ভিডিও টিকে অজস্র শেয়ার করে। ৭ মিনিট ৮সেকেন্ডের সে বক্তব্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ করে কথা বলেন এবং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ছেড়ে না দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত বাংলাদেশিদের ঘরে ঘরেআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর সে ভিডিও আবার নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল থেকে প্রচার করেন এবং সাঈদীর মৃত্যুর জন্য সরাসরি বাংলাদেশ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে পোস্ট শেয়ার করতে থাকেন এবং ২৯ আগস্ট লন্ডনের সরকার বিরোধী লং মার্চ সরাসরি লাইভে সম্প্রচার করে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করে যা সংবাদমাধ্যমের নীতি বহির্ভূত।ধারণা করা হচ্ছে তার সাথে সরকার বিরোধী পত্রিকা ‘নেত্রনিউজ’এর সম্পাদক তাসনিম খলিলসহ আরো রাষ্ট্রদ্রোহীদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, কানাডাস্থিত বিতর্কিত মিডিয়াব্যক্তিত্ব তাজ হাশমি এই বছর ফেব্রুয়ারিতে লন্ডন সফরে গেলে রোকসানা হকের সাথে তার গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই সূত্রটির কাছ থেকে পাওয়া সংক্ষিপ্ত ভিডিও এবং স্থিরচিত্রে এটাই প্রকট হয় যে, রোকসানা হক তারিন, তাজ হাশমির সাথে একটি গোপন বৈঠকে সরকারবিরোধী চক্রান্ত এবং শেখ হাসিনা সরকার হটানোর জন্য শক্ত প্রপাগান্ডা চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন।
এই সংক্রান্ত বিষয়ে আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে সরকার বিরোধী অপপ্রচারের কারণে তারবিরুদ্ধে ২০২২এর জুন মাসে “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮” এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তারপরও তার দেশদ্রোহী অপপ্রচার থামেনি; উপরন্তু তিনি বিদেশের মাটিতে বসে বিএনপি, জামায়াত ও এর অঙ্গ সংগঠন গুলোর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে।
জানা গেছে, মহানমুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা, আক্রমণাত্মক, মিথ্যা ও ভীতি প্রদর্শন তথ্য উপাত্ত ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর প্রয়াস, সরকারি গোপনীয়তা ভঙ্গ এবং বেআইনী ভাবে তথ্য উপাত্ত ধারণ ও স্থানান্তর করার অভিযোগে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই শেখ মোঃসোহেল রানা বাদী হয়ে শওকত আলী(৩৪), রোকসানা হক তারিন(২৯), মাহবুব হোসেন তারেক ও তাসনিমখলিল (৩৩) এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২১,২৫,২৯,৩১,৩২,৩৩ ও ৩৫ ধারায় কোতোয়ালি থানায় মামলা নং৪৮ ,তারিখ ২৬/০৬/২০২২দায়ের করেন।উক্ত দিনেই আসামি শওকত আলী কেনগরীর দরগা মহল্লার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্র হতে জানা গিয়েছে, ধৃত আসামি শওকত আলীর মাধ্যমে ইংল্যান্ড প্রবাসী রোকসানা হক তারিনসহ অপরাপর আসামীরা সরকারের স্পর্শকাতর ও গোপনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে তা ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিকৃতভাবে প্রচার করে আসছে। আরো জানা যায়, এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি রোকসানা হক তারিন যুক্তরাজ্য বিএনপির সদস্য এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বাংলাদেশকে অকার্যকররাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করে আসছেন।
এছাড়াও রাষ্ট্রবিরোধী আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে তার রয়েছে গভীর সম্পর্ক। অপরদিকে, পলাতক আসামী তারিনের পিতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিজানান, তার মেয়ে রোকসানা হক তারিন ১১ বছর আগে যুক্তরাজ্য চলে যায়।দেশে থাকাকালীন তিনি বিএনপি’র ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।কিন্তু ইংল্যান্ড যাবার পর সে মিডিয়ার সঙ্গে কাজ করে।