প্রকাশ: শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৬:৪২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সরকারি চাকরি থেকে অবসরে গেলেন অতিরিক্ত আইজিপি ড. হাসান-উল-হায়দার। সর্বশেষ তিনি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার এই পুলিশ কর্মকর্তার অবসর উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। পুলিশ সদরদপ্তরে বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত আইজিপি ও ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী অতিরিক্ত আইজিপির বর্ণিল কর্মময় ও ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত আইজিপি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, ডিআইজি (প্রশাসন) মো. আমিনুল ইসলাম। তারা হাসান উল হায়দারের পেশাগত ও ব্যক্তি জীবনের নানা দিক এবং বাংলাদেশ পুলিশের উন্নয়নে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা বর্ণনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, হাসান উল হায়দার পুলিশের যে সব ইউনিটে কাজ করেছেন সেখানেই পদচিহ্ন রেখে গেছেন। তিনি চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করে পুলিশের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। বিশেষ করে পুলিশের জনবল বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. হাসান-উল-হায়দার তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, চাকরি জীবনে আমি সিনিয়র-জুনিয়র সকল কর্মকর্তার সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি। তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ পুলিশকে আরও এগিয়ে নেওয়ার নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত রাখার জন্য সকল সহকর্মীর প্রতি আহবান জানান। তাকে আনুষ্ঠানিক বিদায় সংবর্ধনা জানানোর জন্য আইজিপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
জানা গেছে, ড. হাসান উল হায়দার দ্বাদশ বিসিএস-এ পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলায়। তিনি একসময় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক (ডিআইজি) ছিলেন। হাসপাতালের আধুনিকায়নে তিনি ব্যাপক পরিশ্রম করেন। করোনাকালে হাসপাতালটির চিকিৎসাসেবায় অনন্য ভূমিকার জন্য তিনি সারাদেশে আলোচিত হন। এছাড়াও দায়িত্বকালে টাঙ্গাইলের মহেরায় পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীতকরণে ভূমিকা রাখেন। তিনি নড়াইল ও রংপুরের পুলিশ সুপার ছিলেন।
শিক্ষাজীবনে তিনি ফেনী সরকারী পাইলট হাইস্কুল থেকে কুমিল্লা বোর্ডে মেধা তালিকায় স্থান পেয়ে এসএসসি এবং ফেনী সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চতর শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে পিএইচডি অর্জন করেন।
ফেনীর এই সন্তান সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম মাহবুবুর রহমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব ছিলেন।