প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৯:২৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মাগুরার শালিখায় কমে গেছে পাটের দাম। প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ শ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। তাতে করে খরচ উঠছে না পাটচাষিদের। স্থানীয় পাট ব্যবসায়ীরা বলছেন মহাজনরা কমমূল্য দিচ্ছে তাই আমরাও কমমূল্যে ক্রয় করছি। এদিকে পাটচাষি বলছেন সিন্ডিকেটদের প্রভাবে কমে গেছে পাটের দাম। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা সদর আড়পাড়ায় প্রতি শনি ও বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাটচাষীরা পাট বিক্রি করতে আসেন তবে কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেয়ে অনেকেই পাট ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে অনেকে আবার অর্থের প্রয়োজনে বাধ্যহয়েই স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে উঠাচ্ছেন পাটচাষের খরচ। তবে প্রত্যাশিত মূল্য না পাওয়ায় উৎসাহ হারাচ্ছেন পাটচাষীরা।
আড়পাডা ইউনিয়নের দিঘী গ্রামের পাটচাষী অছিউদ্দিন মোল্যা বলেন, এবছর দুই একর জমিতে পাট বুনেছি। পাট বুনা থেকে শুরু করে ধৌতকরা ও শুকানো পর্যন্ত যে খরচ হয়েছে, মণ প্রতি ২৫০০ শ টাকা দরে বিক্রি করলে সেই খরচ উঠবে। বরইচারা গ্রামের পাটচষী উৎপল বিশ্বাস বলেন, এভাবে পাটের দাম কমে যাবে আগে জানলে পাট বুনতাম না। প্রতি হাটে পাটের দাম মণ প্রতি ২শ টাকা কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পাটচারীরা। পাটের দাম কম থাকায় হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের পাট যেন হয়ে উঠেছে কৃষকের গলার কাঁটা। না পারছেন ফেলতে না পারছেন ভালো দামে বিক্রি করতে। ফলে অনেকেই আগামীবছর পাটচাষ থেকে বিরত থাকবেন বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তবে ভিন্ন কথা বলছেন পাট ব্যবসায়ীরা। পাটের রং ও মান ভালো না হওয়ায় দাম কমে যাচ্ছে বলে জানান তারা।
পাট ব্যবসায়ী খোকন সাহা বলেন, মহাজনদের কাছে কম মূল্য বিক্রি করতে হচ্ছে তাই আমরাও কমমূল্যে ক্রয় করছি।
অপর এক পাটব্যবসায়ী হাসিবুল কাজী জানান , আমরা সাধারণত খুলনা, কুষ্টিয়াসহ যেসব এলাকায় পাট বিক্রি করি সেখানে পাটের মূল্য কম থাকায় আমরাও কম মূল্যে ক্রয় করছি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর ৩৯ শত ৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে যা গতবছরের চেয়ে ১৫ হেক্টর বেশি। যেখানে ফলন হয়েছে হেক্টর প্রতি ১৫ বেল । গত বছরের চেয়ে এবছর ফলন তুলনামূলক কম হয়েছে বলেও জানান তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাটচাষীরা ভালোভাবে পাট জাগ দিতে পারেনি ফলে পাটের গুনগত রং ও মান ভালো হয়নি যার কারণে পাট থেকে প্রত্যাশিত মূল্য পাচ্ছেন না তারা।