প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৯:২৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এমবিবিএস ডাঃ আবু আলমের বিরুদ্ধে র্কোস কমপ্লিট না করে রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে দোষ স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ না করেও ডিগ্রীতে ওই প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করার। এছাড়া এফসিপিএস (১ম পর্ব মেডিসিন) ও এফসিপিএস ১ম পর্ব (শিশু) অসমাপ্ত এসব ডিগ্রী ডাঃ আবু আলম রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে ব্যবহার করে আসছেন।
শ্রীনগর সদর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ডাক্তার আবু আলমের সাইনবোর্ডে এখনও তা দৃশ্যমান রয়েছে।
অপরদিকে ডাঃ আবু আলম সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোন ডাক্তার না হয়েও সত্যায়িত ও প্রতিবন্ধি সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে উল্লেখীত ডিগ্রীর বৈধ কাগজপত্র দেখানোর জন্য ১ সপ্তাহের সময় চেয়ে নেন।
ডাঃ আবু আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সকল কাগজপত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে দিয়ে এসেছি। তিনি গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করেছেন।
সত্যায়িত ও সার্টিফিকেট দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একজন এমবিবিএস ডাক্তার হিসেবে দিতে পারি কিন্তু কে কোথায় কি ব্যাপারে কোথায় জমা করবে সেটা তাদের ব্যাপার। আর এসব সার্টিফিকেট কে গ্রহন করবে, না করবে এটা তাদের ব্যাপার।
ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখীত অসমাপ্ত ডিগ্রীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএমডিসির নিয়ম অনুযায়ী এটা কেউ করতে পারেনা। তারপরেও এটা সবাই করে থাকে,আপনারা দেখেন যে মহিলা ডাক্তার, বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বিভিন্ন অসমাপ্ত ডিগ্রি তাদের ব্যবস্থাপত্রে ব্যবহার বুধবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু তোহা মোহাম্মদ শাকিল জানান, ডাঃ আবু আলম তার উল্লেখীত ডিগ্রীর আংশিক কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। মৌখিকভাবে তার দোষ স্বীকার করেছেন। বাকি কাগজপত্রসহ লিখিত মুচলেকা দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে গেছেন।
মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ মঞ্জুরুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।