প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৯:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটের কারণে ও অতিরিক্ত রোগীর চাপে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা, হিমসিম খেতে হচ্ছে কর্মরত চিকিৎসকদের।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্র জানা যায় বিগত ১৯১৮৪-৮৫ সালে স্থাপিত এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি গত ২০১৮ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উন্নতি করলেও বর্তমানে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট বেডেরও জনবল নেই।
নিয়মানুসারে এলাকার জনসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে জুনিয়র কনসালটেন্ট ১০ জন থাকার কথা থাকলেও সেখানে কোন কনসালটেন্ট নেই। এমএলএস ৫ জনের বিপরীতে ১ জন, ওয়ার্ড বয় ৫ জনের বিপরীতে ২ জন, আয়া ৪ জনের বিপরীতে বিপরিতে রয়েছে ১ জন, সিকিউরিটি গার্ড নেই, পরিষ্কার পরিছন্নকর্মী ৫ জনের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ১ জন। মালির পদটিও শূন্য।
একদিকে যেমন জনবল সংকট অন্যদিকে অপারেশন থিয়েটার ও আধুনিক যন্ত্রপাতি গুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হতে চলেছে। অযত্ন-অবহেলায় ফেলে রাখার কারণে ধুলো-বালি পড়ে সরকারের দেয়া এ সব যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার উপক্রম। জানা যায় অপারেশন থিয়েটার ও আধুনিক যন্ত্রপাতির মধ্যে যেটা দিয়ে আসল কাজ করতে হয় সেটি নেই এজন্য সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হতে চলেছে।
এ ছাড়াও হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফির ব্যবস্থা থাকলেও আল্ট্রাসনোর জন্য অভিজ্ঞ কোন লোক না থাকায় এখানে কোন আল্ট্রাসনোগ্রাফি হয় না। অপরদিক নেই ডিজিটাল এক্সরে মিশন। এনালগ এক্সরে মেশিনের এখন আর কোন কাজ চলছে না। সেই এক্সরে যে করাতেন তিনি অবসরে যাওয়ায় সে পদটিও শূন্য।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা নানা অভিযোগ করে বলেন, এখানে চিকিৎসাসেবার মান নিম্নমানের। সময়মতো কোনো কিছুই পাওয়া যায় না। এদিকে বহিঃবিভাগে রোগীরা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে সেবা না পেয়ে ফিরে যান এমনও অভিযোগ অনেকের। মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডে রোগীর ছাপ ও ওয়ার্ডে নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে নাই আর নাই।
এছাড়াও আবার অল্পতেই রোগীদের রেফার্ড করা হয় কক্সবাজার সদরসহ আশপাশের হাসপাতালে। কর্তৃপক্ষের মতে জনবল না থাকায় এখানে সেবা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ আছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট এর বিষয়ে ইতিমধ্যে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবগত করেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। অপারেশন থিয়েটার ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই তাই কোনো অপারেশন কিংবা আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয় না।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এজেড এম সেলিম জানান, ইতিমধ্যে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।