মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
হারুন অর রশীদ বলেন, থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের নির্যাতনের যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার সূত্রপাত হয় বারডেম হাসপাতালে। সেখানে রাষ্ট্রপতির এপিএস মামুন আগেই এডিসি হারুনের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন। এ বিষয়টিও তদন্তে আসা উচিত।
এর আগে গত রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেছিলেন, ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানেন। এটি তদন্ত করা হবে, তদন্তে এডিসি দোষী হলে তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এডিসি হারুনকে বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৩৯ (১) ধারা মোতাবেক আজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন তিনি পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
গত শনিবার সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালে প্রশাসনের এক কর্মকর্তার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এডিসি হারুন। সেই বাগ্বিতণ্ডা থামাতে ওই প্রশাসন কর্মকর্তার ডাকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহম্মেদ মুনীম হাজির হলে তাঁদের শাহবাগ থানার ভেতরে ধরে নিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হারুন অর রশীদকে এক দিনে দুবার বদলি করা হয়।
রোববার প্রথমে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক আদেশে তাঁকে রমনা বিভাগ থেকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) উত্তর বিভাগে বদলি করা হয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আরেক প্রজ্ঞাপনে এডিসি হারুনকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। সবশেষ তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।