পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মোংলা বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৪ হাজার ২৮২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫০০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা এবং চীনা ঋণ থেকে ৩ হাজার ৭৮২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। চলতি বছর থেকে শুরু হয়ে ২০২৭ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (খুলনা জোন) প্রকল্প; ফেনীর মোহাম্মদ আলী বাজার-ছাগলনাইয়া-করেরহাট সড়ক প্রশস্ত এবং ফেনী নদীর উপর শুভপুর সেতু নির্মাণ প্রকল্প; ২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন বিভিন্ন সড়ক সেতু ও কালভার্টগুলোর জরুরি পুনর্বাসন ও পুনর্নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের উন্নয়ন; নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৫নং গুদারাঘাটের নিকট শীতলক্ষ্যা নদীর উপর কদমরসুল ব্রীজ নির্মাণ প্রকল্প; গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।
এছাড়া রায়েরবাজার এলাকায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প; বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত মাজার মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প; চট্টগ্রাম বিভাগের দক্ষিণাঞ্চল এবং কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটির সঞ্চালন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন প্রকল্প; সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৩টি নতুন বাফার গোডাউন নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; কৃষক পর্যায়ে বিএডিসির বীজ সরবরাহ কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্প। মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার নদী বিধৌত চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প।
মেঘনার শাখা নদীর ভাঙন হতে হিজলা উপজেলাধীন পুরাতন হিজলা, বাউশিয়া ও হরিনাথপুর এলাকা রক্ষা প্রকল্প; শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পদ্মা নদীর ডান তীরের ভাঙন হতে মাঝিরঘাট জিরো পয়েন্ট এলাকা রক্ষা প্রকল্প; অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পও এদিন একনেকে অনুমোদন পেয়েছে।