রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ম্যাক্রোঁর সম্মানে এ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। নৈশভোজ শুরুর আগে চলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
এই আয়োজনে অ্যাপিটাইজার হিসেবে ছিল পেঁয়াজু, সমুচার সঙ্গে স্মোকড ইলিশ, স্যুপ, ব্রেড অ্যান্ড বাটার।
মেইন কোর্সে ছিল খাসির মাংসের কাচ্চি বিরিয়ানি, গরুর মাংসের শিক কাবাব, চিকেন কোরমা, রোস্টেড লবস্টার, টক অবার্গিন এবং ট্র্যাডিশনাল লুচি ব্রেড।
ডেজার্ট হিসেবে ছিল পাটিসাপটা পিঠা, মিষ্টি দই, রসগোল্লা ও বিভিন্ন ধরনের ফল। বেভারেজ হিসেবে ছিল তাজা ফলের জুস, আমড়ার জুস, চা, কফি ও কোমল পানীয়।
রোববার রাত ৮টায় ভারতে জি-২০ সম্মেলন শেষে দুই দিনের সফরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এসময় ম্যাক্রোঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বিমানবন্দর থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পৌঁছান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে এটিই প্রথম কোনো বিদেশি রাষ্ট্রপতির যাত্রা।
জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার সকালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
গত ৩৩ বছরের মধ্যে কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের এটি প্রথম ঢাকা সফর। জানা গেছে, ম্যাক্রোঁর এ সফরে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দুটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হবে।