গত সপ্তাহ শেষে তিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি ব্যাংকটির এমডি হিসেবে যোগ দেন এবং বর্তমান পদে তাঁর মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এখন পরিচালনা পর্ষদ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেই তাঁর পদত্যাগ কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে এসবিএসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবু জাফর মোহাম্মদ শফিউদ্দিন বলেন, এমডির পদত্যাগসংক্রান্ত কোনো তথ্য আমি পাইনি। আমার জানামতে এমন কিছু ঘটেনি। ৩ সেপ্টেম্বরে পর্ষদ সভা ছিল, সেখানে এমডি যোগ দিয়েছিলেন। কিছু ঘটলে সামনের পর্ষদের সভায় তা জানা যাবে।
এর আগে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ খান। গত ২৬ জুলাই পদত্যাগ করেন ব্যাংক এশিয়ার এমডি আরিফ বিল্লাহ আদিল চৌধুরী। এ ছাড়া চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করেন মো. মেহমুদ হোসেন। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে তিনি আবার ন্যাশনাল ব্যাংকে ফেরেন। ফলে চলতি বছর তিনজন এমডি পদত্যাগ করলেন।
এর আগেও ব্যাংকের এমডিদের পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে, তবে তা ছিল ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তনের সময়। পরিচালকদের চাপের কারণে ব্যাংক এমডিদের পদত্যাগ ঠেকাতে ২০১৪ সালে একটি সুরক্ষা নীতিমালা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে তা তেমন কোনো কাজে আসেনি।
এসবিএসি ব্যাংক সূত্র জানায়, ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির মোল্লার মেয়াদ ছিল ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে তার আগেই গত মাসে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আবু জাফর মোহাম্মদ শফিউদ্দিন। এর মধ্যে একজন পরিচালকের প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া নিয়ে পরিচালকদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। এর জেরে নতুন চেয়ারম্যানের সঙ্গে এমডির সম্পর্কের অবনতি হয়। এ কারণে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
২০১৩ সালে যাত্রা শুরুর পর দীর্ঘসময় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন লকপুর গ্রুপের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন। ঋণ অনিয়মের কারণে তাঁকে ব্যাংক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, এরপর তিনি বিদেশ চলে যান। পরে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হন থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির মোল্লা।