সরকারবিরোধী আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে নয়, নিয়মিত ক্রয় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০ লাখ রাবার বুলেট ও ৯০ হাজার টিয়ারশেল কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে বগুড়ায় নির্মিত অত্যাধুনিক শপিং সেন্টার পুলিশ প্লাজার (কনকর্ড) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, “দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।”
বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আইজিপি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ সক্ষম।”
বাংলাদেশ পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে আসছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, “নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর পুলিশের লজিস্টিক ও সরঞ্জাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে পুলিশের সক্ষমতা বহুগুণ বেড়েছে।”
তিনি বলেন, “এখন পুলিশ অজ্ঞাত অপরাধের সমাধান করতে পারে। অপরাধ করার পরই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারে।”
মামুন বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে পুলিশ সফলভাবে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করেছে।”
তিনি বলেন, “দেশে এখন আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে। এর ফলে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ রয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে,” যোগ করেন তিনি।
আইজিপি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তায় ২০০০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়।”
তিনি বলেন, “এই টাকা গুরুতর আহতদের চিকিৎসা ও জনগণের জানমাল রক্ষায় কর্তব্যরত নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়েছে।”
মামুন অবশ্য বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত ১২ হাজার পুলিশ সদস্যকে ৭১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।”
এর আগে, রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আইজিপি পুলিশ লাইন্স চত্বরে একটি গাছের চারা রোপন করেন।
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি (অর্থ) এস এম মোস্তাক আহমেদ খান ও অতিরিক্ত ডিআইজি (উন্নয়ন-রাজস্ব) শোয়েব রিয়াজ আলম প্রমুখ।