প্রকাশ: শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৭:৫০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কোনো রকম যাচাই বাছাই ছাড়াই আইনমন্ত্রী এ্যাড. আনিসুল হকের নির্বাচনী এলাকা কসবা থানায় বেআইনী মামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আসামীরা। মামলা নাম্বার : ০১, তারিখ ১ আগস্ট, ২০২৩ইং। মামলার চার নাম্বার আসামি আকরাম হোসেন (২৫) ওই সময়ে ভারতে অবস্থান করছিলেন, কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে মাদক মামলা করেছেন ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সুবেদার আবু তাহের।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে কসবা থানার এস আই তানজিল মাত্র এক মাসের মধ্যে চার্জশিট দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছেন। তবে মামলার কোনো আসামিকে কসবা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি।
সুবেদার আবু তাহের বাদী হয়ে মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৬-৭ জনকে অজ্ঞাত লোককে আসামি করা হয়েছে। মামলার ৪ নাম্বার আসামি আকরাম হোসেন ছাড়াও অন্য আসামিরা হচ্ছেন রাজু মিয়া (২৬), মোছা: ছোটনা আক্তার (৩৫) এবং আব্দুল করিম (৪০)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই বিতর্কিত মামলার চার নাম্বার আসামি আকরাম হোসেন গত ১৮ জুলাই ভারতে যান এবং ফিরে আসেন ১৪ আগস্ট। এ সংক্রান্ত ভিসা, টিকেট এবং ইমিগ্রেশনের রেকর্ডপত্র ভোরের পাতার হাতে সংরক্ষিত রয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের সুবেদার আবু তাহের ভোরের পাতাকে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। আমার সঙ্গে ২ জন সৈনিকও উপস্থিত ছিলেন। ঘটনা সত্য বলেই মামলা করেছি।’
এদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কসবা থানার এস আই তানজিলকে ম্যানেজ করেই এ মামলাটি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এস আই তানজিলকে এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে তিনি বিষয়বস্তু শুনে বলেন, আমি এখন বাইরে আছি। আপনাকে পরে এ বিষয়ে ফোন করবো। কিন্তু তিনি পরবর্তীতে আর ফোন করেননি।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া (কসবা সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি ভোরের পাতাকে বলেন, আমি বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনেছি। আমাকে মামলার কাগজপত্রগুলো পাঠান, আমি আগামীকাল (রোববার) আপনাকে আপডেট জানাবো।