প্রকাশ: শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৭:৩২ পিএম আপডেট: ০৯.০৯.২০২৩ ৭:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশের সামনে লড়াকু টার্গেট দাঁড় করিয়েছে এশিয়া কাপের সহ আয়োজক দেশ শ্রীলংকা। ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে টাইগারদের করতে হবে ২৫৮ রান। এর আগে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করে শ্রীলংকা। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৫৮ রান।
শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) টস জিতে শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এদিন লংকানদের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুণারত্নে।
ইনিংসের প্রথম বলেই ইনসাইড এজে বোল্ড হতে পারতেন পাথুম নিশাঙ্কা। কপালের জোরেই সেটা বাউন্ডারি হয়েছে। পরের দুই বলও স্বস্তিতে খেলতে পারেননি, চতুর্থ বলে গিয়ে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে নিশাঙ্কাকে তো এলবিডব্লিউই দেন আম্পায়ার। সেখানে একটু সময় নিয়ে রিভিউ নেন এই ওপেনার। উচ্চতা নিয়ে সংশয় ছিল। শেষ পর্যন্ত বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, বল যেত স্টাম্পের ওপর দিয়েই। তাতে প্রথম ওভারেই বেঁচে যান তিনি।
ষষ্ঠ ওভারের শুরুটা হয়েছিল টানা দুই বাউন্ডারিতে। তবে তৃতীয় বলে উইকেট শিকার করে সেটার প্রতিশোধই নিলেন হাসান মাহমুদ। ব্যাকঅব লেন্থ থেকে খানিকটা আউট সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট চালিয়ে ছিলেন দিমুথ করুণারত্নে। ব্যাটের বাইরের দিকের কানায় লেগে বল চলে যায় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ১৮ রান করে এই ওপেনার সাজঘরে ফেরায় ভাঙে ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।
ইনিংসের নবম ওভারে প্রথমবার স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। সাকিব নিজেই বল হাতে তুলে নেন। পরের ওভারে অপর প্রান্ত থেকেও স্পিন আক্রমণে যান সাকিব। এবার বল হাতে নাসুম আহমেদ। দুই স্পিনারই পাওয়ার প্লেতে একটি করে ওভার করেছেন। তাদের দুর্দান্ত শুরুতে ১ উইকেটে ৫১ রান তুলে প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ করে শ্রীলঙ্কা।
১৯তম ওভারে বোলিংয়ে ছিলেন হাসান। দ্বিতীয় বলটি নিশাঙ্কার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় প্রথম স্লিপ ও উইকেটকিপারের মাঝামাঝি অঞ্চলে, সেখানে ডানদিকে ডাইভ দিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ইব্রাহিমের ক্যাচটির পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি তিনি। গ্লাভসে অবশ্য পেয়েছিলেন, রাখতে পারেননি। ফলে নিশঙ্কা জীবন পান ৩৬ রানে।
বাংলাদেশের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে ওঠা নিশাঙ্কা শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। শরিফুলের স্লোয়ারে ব্যাট নামাতে দেরি করে ফেলেন তিনি। বল পায়ে আঘাত হানলে আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু পল উইলসনের দেওয়া এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ করেছিলেন, তবে বাঁচেননি। ৭৪ রানের জুটি অবশেষে ভাঙেন শরিফুল। নিশাঙ্কা থেমেছেন ৬০ বলে ৪০ রান করে।
নিশাঙ্কা হাফ সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেও এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন কুশল মেন্ডিস। তবে এরপর আর বেশি দূর এগোতে পারেননি। শরিফুলের খাটো লেন্থের বলে আপার কাট করতে গিয়ে থার্ডম্যানে ধরা পড়েন। এর আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭৩ বলে ৫০ রান। দুই সেট ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকেও ম্যাচে ফেরান শরিফুল।
চারিথ আসালঙ্কা উইকেটে আসার পরই শরিফুলকে সরিয়ে তাসকিনকে আক্রমণে আনেন সাকিব। অধিনায়কের সেই পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন করলেন ডানহাতি এই পেসার। তাসকিনের স্লোয়ারে তুলে মারতে চেয়েছিলেন আসালঙ্কা। কিন্তু টাইমিং হয়নি। মিড অনে থাকা সাকিব তার ডানদিকে ছুটে নিয়েছেন ভালো ক্যাচ। আসালাঙ্কা থেমেছেন ২৩ বলে ১০ রান করে।
ভোরের পাতা/কে