প্রকাশ: শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৫:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে স্ক্যাভেঞ্জিং প্রকল্পের শেড নির্মাণে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ওই প্রকল্পের শেড নির্মাণের গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে জোড় করে টাকা উত্তোলন করে পছন্দের ব্যক্তিকে দিয়ে শেড নির্মাণের ২৪ লাখ টাকা আর্থিক অনিয়মের খবর ছড়িয়ে পড়ছে সর্বমহলে। এদিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর খামারিদেরকে শেড বিতরন করবে বলে ডেকে আনা হলে মাত্র দু’টি শেড দিয়ে উদ্বোধন করে তাদেরকে বাড়িতে চলে যেতে বলে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা। তখনই বাদসাদে খামারদের সাথে। ওইসময় খামারিরা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিচারের দাবি জানান।
প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায় , বিশ্ব ব্যাংকের অর্থানে উপজেলায় ছাগল-ভেড়া ও পোল্ট্রি পালনের জন্য খামারিদের ১২০ টি শেড নির্মাণের ২৪ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়। ওইসব শেড নির্মানের ডিজাইন ও পরিমাপ অনুযায়ী খামারিদের কাছে বিতরনের নির্দেশনা রয়েছে।
জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি খামারির ব্যাংক একাউন্টে। নিয়ম অনুযায়ী নিদির্ষ্ট ডিজাইনে খামারিরাই শেড তৈরি করবে।
কিন্তু এ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা শেড নির্মানের জন্য তার নিকটাত্মীয় তৃতীয় শ্রেণীর এক সরকারি কর্মচারী (স্বাস্থ্য সহকারী) মোঃ শাহজালাল নামে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বাস্তবে ওইসব শেড নির্মানের ডিজাইন ও পরিমাপ অনুযায়ী করা হয়নি। এদিকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসেন খামারিদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের চেক এ স্বাক্ষর করিয়ে নিজেই ব্যাংক থেকে ১২০ টি শেডের জন্য ২০ হাজার টাকা করে ২৪ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে বলে জানা যায়। আর ওইসব কার্যক্রমের সহযোগীতা ছিলো প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার নিকটাত্মীয় স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ শাহজালাল।
একাধিক খামারিরা জানান, আমাদের একাউন্টে সরকার ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছে, ছাগল-ভেড়া ও পোল্ট্রি পালনের শেড তৈরির জন্য। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও তার নিকটাত্মীয় শাহাজালালসহ কিছু লোকজন আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চেক ও স্বাক্ষর নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছেন। সরকার নাকি তাদের দায়িত্ব দিয়েছে তারাই শেড করে দিবে। আমরা বলেছি আমরাই শেড নির্মাণ করবো। কিন্তু ডাঃ জাকির হোসেন তা মানেন নি। এই শেডে ছাগল-ভেড়া ও পোল্ট্রি পালন করা যাবেনা। ওইসব শেড নিবোনা বলে তাকে জানিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুর রহমান নুরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই প্রকল্প সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। এই কথা বলে তিনি এড়িয়ে যান।
এদিকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (অ.দা.) ডা. মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, এই প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক অর্থ দিলেও আমাদের মাধ্যমে শেড তৈরি করার নিময় আছে। প্রকল্পে কোন অনিয়ম হয়নি।