প্রকাশ: শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৪:২৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বৈদ্যুতিক শক খেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সেই বানরটিকে বাঁচানো গেলো না।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের হেফাজতে থাকা অবস্থায় বানরটি মারা যায়।
চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) এটির চিকিৎসা চলছিল।
চট্টগ্রামের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য্য আহত বানরটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রথম দুই দিন বানরটির অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। খাওয়া দাওয়া করছিল, রেসপন্সও ভাল ছিল। কিন্তু গতকাল বিকাল থেকে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। যাই খাওয়ানো হচ্ছিল বমি করছিল। বিকাল ৫টার দিকে তাকে আবার সিভাসুতে পাঠানো হয়। ডাক্তাররা দুটি স্যালাইন পুশ করেন। আর মুখে খাওয়ানোর জন্য লিকুইড খাবার দেন। কিন্তু খুব একটা উন্নতি হয়নি। আজ দুপুরের দিকে মারা গেছে। আমাদের অফিস এলাকায় কোথাও মাটিচাপা দেওয়া হবে বানরটিকে।
জানা যায়, খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে কোনোভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত হয় বানরটি। সোমবার বানরটিকে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে শনিবার থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এটির চিকিৎসা চলছিল। আহত অবস্থায় বানরটি নিজেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসত। চিকিৎসা শেষে আবার চলে যেত।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, শনিবার বানরটি আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে ঘুরতে থাকলে চিকিৎসা দেই। চিকিৎসা শেষে বাগানে চলে যায়। পরদিন রবিবার বিকালে আবারও আসে। তখন এর ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করে ওষুধ দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেই। এ সময় চুপচাপ বসে ছিল। চিকিৎসা শেষে বানরটি বাগানে ফিরে যায়। সোমবার সকালে বানরটি আবারও হাসপাতালে আসে। এরপর পূর্বের ব্যান্ডেজ খুলে পুনরায় ড্রেসিং করে দেওয়া হয়।
একটি বানর প্রতিদিন হাসপাতালে আসার এই খবর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বন বিভাগ ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয়কে জানালে তারা এসে বানরটি উদ্ধার করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এটিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল।
ভোরের পাতা/কে