সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্টদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও শুক্রবার ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষার প্রসারে প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর (বঙ্গবন্ধু) শিক্ষা, দর্শন অনুসরণে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার শিক্ষার উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।’
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘মানসম্মত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যালয়ে যাওয়ার মতো সব শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করা, বিনামূল্যে শিক্ষাদান ও পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ, প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান, দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং চালু এবং পাঠদানের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে লেখাপড়াকে আনন্দদায়ক করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
রাষ্টপতি বলেন, ‘সরকারের নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নে সাক্ষরতার হার ২০০৭ সালের ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ ৯৮ দশমিক ২৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।’
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা সরকারের সাড়ে চৌদ্দ বছরে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষার চাহিদা ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা পদ্ধতিতে বৈচিত্র্য এসেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, বৃত্তিমূলক শিক্ষা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ সাক্ষরতা প্রদান জরুরি।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি আইসিটি বেইজড শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।’
‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন রাষ্ট্রপ্রধান। খবর: বাসস