প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৯:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ফলে পদ্মার তীরবর্তী কৃষকের আবাদি জমিসহ মানুষের শেষ সম্বল বসতবিটা নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে সরিয়ে নেয়া হবে ঘরবাড়ি, স্থানান্তরিত হচ্ছে পদ্মার আরেক চরে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন আগ্রাসী পদ্মার ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
সরজমিনে নদী ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়- চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের খলিফাচর (জোহরপুর) এলাকা থেকে শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের দশরশিয়া প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদী ভাঙন হচ্ছে। নদীর পাড়ের ঘাস, কাশবনসহ অন্যান্য বন উজাড় করে ফেলায় মাটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে পানির তোড়ে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। এবারের নদী ভাঙন মৌসুমে নিচের দিকে মাটি দেবে গিয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। ভাঙনের আতঙ্কে নিশিপাড়া চরে স্থান্তরিত হচ্ছে মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন- নদী ভাঙনের হুমকিতে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, দুতলা বিশিষ্ট আশ্রয়ন কেন্দ্র, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারায়ণপু এমএ উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণপুরের বাতাস মোড় বাজার,কয়েক হাজার কৃষকের আবাদি জমিসহ প্রায় ৫ হাজার পদ্মা পাড়ের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি।
মুনিরুল ইসলাম নামে এক পদ্মা পাড়ের বাসিন্দা জানান, পদ্মা নদীতে পানি বাড়লে এবং কমলে নদী ভাঙনের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে উজানের ঢলের তোড়ে নদী ভাঙন হচ্ছে। প্রতিবছরই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, কিন্তু স্থায়ী পদক্ষেপ নেয় হয় না।
তিনি বলেন, পদ্মা পাড়ের হাজার হাজার মানুষের বসবাস। এখানকার বাসিন্দাদের দাবি পদ্মা নদীতে ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের। অস্থায়ী জিও ব্যাগ-জিও টিউব ব্যবহার করে নদী ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করেন। এতে কোন কাজই হয়না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৫ কিলো মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন হচ্ছে। ভাঙনের খবর সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। স্থায়ী নির্মাণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।