প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৮:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারেক রিয়াজ খান পদত্যাগ করেছেন। গত রোববার জমা দেয়া পদত্যাগপত্রে তিনি ‘ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যগত কারণ’ দেখিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তারেক রিয়াজ খান গত বছরের মার্চে তিন বছরের জন্য পদ্মা ব্যাংকে এমডি হিসেবে যোগ দেন। সে হিসেবে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত তার মেয়াদ ছিল। কিন্তু যোগদানের এক বছরের মাথায় তিনি পদত্যাগ করলেন। পদ্মা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পদ্মা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মোহাম্মদ ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘এমডি স্যার পদত্যাগ করেছেন বলে শুনেছি। ঠিক কী কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন সেটি নিশ্চিত নই। শুনেছি তিনি অন্য কোনো ব্যাংকে যোগদানের প্রস্তাব পেয়েছেন। এজন্য পদত্যাগ করে থাকতে পারেন।’
সূত্র জানিয়েছে, আমানতকারীদের জমা টাকা ফেরত দেয়া নিয়ে ব্যাংকটি এখনো সমস্যায় রয়েছে। নামে-বেনামে যেসব ঋণ দেয়া হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে কমই ফেরত আসছে। ফলে ব্যাংকটি তারল্য সংকটে ভুগছে। সাধারণ গ্রাহকদের পাশাপাশি আমানতকারী বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান টাকা ফেরত চাইছে। তবে সবাইকে টাকা ফেরত দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
গত আগস্টে পদ্মা ব্যাংককে আবারো বিশেষ সুবিধা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৭-১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত নগদ জমা (সিআরআর) বজায় রাখতে ব্যর্থ হয় ব্যাংকটি। এ ঘটনায় ধার্য হওয়া ৫৫ কোটি টাকা জরিমানা পরিশোধে বাড়তি দুই বছরের বেশি সময় দেয়া হয়েছে পদ্মা ব্যাংককে। ২০২৮ সালের এপ্রিলের মধ্যে এ জরিমানা শোধ করতে হবে। আগে এ সময়সীমা ছিল ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, অনিয়ম-জালিয়াতির কারণে সাবেক ফারমার্স ব্যাংক আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে চারটি সরকারি ব্যাংক ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ব্যাংকটির বড় অংশের শেয়ার কিনে নেয়। পাশাপাশি পদ্মা ব্যাংকে আমানতও রাখে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হন চৌধুরী নাফিজ সরাফত।