বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।
তবে এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে রায়ের জন্য আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিনই আদালত রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম ও আসামিপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ রুহুল আমিন ভূঁইয়া শুনানি করেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১৩ সালে হেফাজতের শাপলা চত্বরে সমাবেশে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। এ ঘটনায় একই বছরের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম। ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আশরাফুল আলম আদিলুর ও নাসিরুদ্দিন এলানের নামে অভিযোগপত্র জমা দেন।
পরদিন ৫ ঢাকার সিএমএম বিকাশ কুমার সাহা মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে পাঠান। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর ‘অধিকার’ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের নামে আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। সেই মামলায় আদিলুরকে গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি পলাতক আসামি নাসির উদ্দিন এলানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে অবশ্য আদিলুর রহমান খান ও নাসিরুদ্দিন এলান দুজনই জামিনে মুক্তি পান।
২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় দীর্ঘ আট বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন সাক্ষ্য দেন ডিবির তৎকালীন উপপরিদর্শক (বর্তমানে সিআইডির পরিদর্শক) আশরাফুল ইসলাম।