১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্র্নে চলাচল করবে। এর মধ্যে দিয়ে রেলপথে ঢাকার সঙ্গে যুক্ত হবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল।
আজ পরীক্ষামূলক যাত্রার প্রথম ট্রেনে লোকোমাস্টার হিসেবে রয়েছেন এনামুল হক এবং সহকারী লোকোমাস্টার এম এ হোসেন। আর গার্ড হিসেবে ট্রেন পরিচালনা করছেন আনোয়ার হোসেন।
রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন পরীক্ষামূলক ট্রেনে যাত্রী হিসেবে পর্যবেক্ষণ করছেন। মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এবং রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছ্নে তার সঙ্গে।
১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু দিয়ে রেল যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই রেলপথ পুরোপুরি চালু হলে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার পদ্মা সেতু দিয়ে মানুষের রেল যোগাযোগ সহজ হবে। এর মাধ্যমে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যুক্ত হবে আরেকটি মাইলফলক। সেই সঙ্গে জিডিপিতে রাখবে বড় ভূমিকা।
এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশ ১০ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এখনো প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে চিঠি পাইনি। তবে তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। চিঠি পেলে বিস্তারিত জানানো হবে।
এই অংশের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। তবে যশোর পর্যন্ত প্রকল্পের বাকি অংশ ২০২৪ সালের জুনে শেষ হবে বলে জানান তিনি।
রেলপথের ২০ স্টেশন: পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে কমলাপুর থেকে যশোর পর্যন্ত ২০টি স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৪টি স্টেশনই নতুন। পুরোনো ছয়টি স্টেশনকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের নিমতলায় নতুন দুটি স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও মাওয়া স্টেশন নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায় রয়েছে। মাওয়া স্টেশনের পরে পদ্মা সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরায় নির্মিত হচ্ছে ‘পদ্মা স্টেশন’। পদ্মা স্টেশনের পরে শরীয়তপুরে ‘শিবচর স্টেশন’। এ ছাড়া ফরিদপুরের ভাঙ্গায় উন্নত দেশের আদলে নির্মাণ করা হচ্ছে জংশন। ভাঙ্গা থেকে একটি লুপ লাইন ফরিদপুর সদর ও অন্য একটি লুপ লাইন নাগরকান্দা পর্যন্ত যাবে।