পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় পাকিস্তান। বাকি ছিল আরো ৬৩ বল।
পাকিস্তানের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন ফখর জামান ও ইমাম উল হক। শুরু থেকেই দেখে খেলতে থাকেন দুজন। পঞ্চম ওভার শেষে ফ্লাডলাইট বিভ্রাটে প্রায় ১৮ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। ফের খেলা শুরুর কিছু পরেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ।
শরিফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ফখর। এর আগে ২০ রান করেন তিনি। বাবরকে ১৭ রানে বোল্ড করে কিছুটা উত্তেজনা বাড়ান তাসকিন আহমেদ। তবে পরের গল্পটা নিজেদের করে নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইমাম।
রিজওয়ান-ইমামের ৮৫ রানের জুটিতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। ৭৮ রানে ইমাম যখন আউট হন জয় থেকে তখন হাতছোঁয়া দুরত্বে পাকিস্তান। আঘা সালমানকে নিয়ে যে পথ সহজেই পাড়ি দেন রিজওয়ান।
ইনিংস শেষে রিজওয়ান ৬৩ ও সালমান ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন, শরিফুল ও মিরাজ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে পাক বোলারদের তোপে দলীয় অর্ধশতকের আগেই ৪ উইকেট হারায় টাইগাররা।
ঠিক ২৮ ম্যাচ পর দলের সংগ্রহ ৫০ পূরণের আগেই এমন পরিস্থিতির মুখে পড়ে বাংলাদেশ। যেখানে মেকশিফট ওপেনার ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই।
নাঈম শেখ ২০ রানে ফেরেন। এ ম্যাচে দলে যোগ দেওয়া লিটন দাস ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। তাওহীদ হৃদয়ও মাত্র ২ রানে বোল্ড হলে অল্পেই অল আউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ।
এমন সময় দলের হাল ধরেন দীর্ঘদিনের দুই পরীক্ষিত সৈনিক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তাদের ব্যাটে ধীরে ধীরে এগোতে থাকে টাইগাররা। তবে যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ প্রায় চলে এসেছে, ঠিক তখনই সাকিবের বিদায়।
ফাহিম আশরাফকে পুল করতে গিয়ে সাকিব যখন সাজঘরে ফেরেন, তার একটু আগেই মুশফিকের সঙ্গে জুটিটা ১০০ ছুঁয়েছিল। সাকিব নিজেও দীর্ঘদিন পর পেয়েছিলেন ফিফটির স্বাদ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৪তম ফিফটির ইনিংসটি অবশ্য বড় করতে পারেননি তিনি।
এরপরের গল্পটা শুধুই আসা যাওয়ার। আরেক ভরসার নাম মুশফিকও অবশ্য ফিফটি করেছেন। সপ্তম উইকেট হিসেবে আউট হওয়ার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন তিনি। এর আগে শামীম পাটোয়ারি ফেরেন ১৬ রানে।
বাকি গল্পটা শুধুই হতাশার। মাত্র ৩ রানে শেষ চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যার ফলে এক পর্যায়ে ভালো রানের স্বপ্ন দেখা টাইগারদের ইনিংস পেরোতে পারেনি ২০০ রানের গণ্ডি। ব্যাটিং উইকেটে ব্যাটারদের আত্মহত্যার মিছিলে অল্পেই থামে সাকিবের দল।
পাকিস্তানের হয়ে এ ম্যাচে একাই চার উইকেট শিকার করেন হারিস রউফ। এছাড়া নাসিম শাহ তিনটি এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ ও ইফতিখার আহমেদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।