তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যেই দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার লালন ও চর্চা করে চলেছে। আওয়ামী লীগ দেশকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে পরিণত করেছে এবং সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আওয়ামী লীগ আছে বলেই দেশের মানুষ এখনো নিরাপদ।
আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সিংড়া উপজেলার শেরকোলে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের আয়োজনে শোভাযাত্রা ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের ৩০ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছিল।
১ কোটি মানুষকে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করতে হয়েছিল। সেই সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আর বাংলাদেশের কিছু দেশদ্রোহী রাজাকার বাহিনী তারা বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য গণহত্যা চালিয়েছিল। তারা দুই লাখ মা-বোনদের অমানসিক অত্যাচার-নির্যাতন এবং ধর্ষণ করেছিল। যার অধিকাংশই হিন্দু মা-বোনেরা ছিলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে পলক বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত আমাদের দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। নির্বাচন এলেই তারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেছে। দীর্ঘ ৩৭ বছর বিএনপি-জামায়াত, জাতীয় পার্টি ধর্ম নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করে আমাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে সমাজে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেছে। বিএনপি দেশে কোনো উন্নয়ন করেনি। তারা নির্বাচন আসলেই ধর্ম নিয়ে বিভ্রান্তি করে ভোট নিয়েছে।’
‘আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে যে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। সে স্বাধীনতায় বাংলাদেশের মূলমন্ত্র হিসেবে চারটি স্তম্ভকে বেছে নেওয়া হয়েছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। ধর্মনিরপেক্ষতা কী তার কিন্তু ব্যাখ্যাও বঙ্গবন্ধু স্বাধীন মহান সংসদে দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি ধ্বংস করেছে মিথ্যা অপপ্রচারে।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা―এই পাঁচটি জিনিস রাষ্টের সকল ধর্মের মানুষের অধিকার।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জানাতুল ফেরদৌস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নাটোর জেলার সভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার সাহা প্রমুখ।