প্রকাশ: বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৩:১৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
যদি কেউ আমাকে প্রশ্ন করে জীবনের সবচেয়ে ভালো দিনগুলো কোথায় কাটিয়েছি, জবাবে বলব সাতক্ষীরায়। সাতক্ষীরায় কাটানো দুইবছর জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ৬তলা বিশিষ্ট ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এ সময় প্রধান বিচারপতি স্মৃতি চারন করে বলেন, প্রধান বিচারপতি একদিনের হইনি এর পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখ্য অবদান রয়েছে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষকদের। বাবা মা আমাদের জন্ম দিয়েছেন তবে শিক্ষকদের অবদান আমাদের জীবনে অনস্বীকার্য। এই প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অমলিন হয়ে থাকবে চিরকাল।
স্মৃতি চারনে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলাম আমি। সে সময়ে ক্লাসের ফাঁকে কলেজের লেকে যেয়ে বসে থাকা। বরই খেতে খেতে বন্ধুদের সাথে গল্প করা এগুলো সবই ছিল জীবনের রঙিন ইতিহাস। সাতক্ষীরা আমার জন্মস্থান না হলেও জীবনের রঙিন সময় গুলো এখানে কাটিয়েছি।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হাদীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
সরকারি কলেজে যাওয়ার আগে, বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত ন্যায়কুঞ্জ নামে বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মামলা জট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলার জট কমিয়ে জনগণ যাতে সহজে ন্যায়বিচার পায় সেজন্য বিচারক ও আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সারা দেশে ৪০ লাখ মামলা পেন্ডিং রয়েছে। এসব মামলা নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই মুশকিল।