বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরুবাজ সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৪ রান করে। এরপর ইব্রাহিম জাদরানও দ্রুত ফিরেছেন। ২৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছিল তারা।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে গুলবাদিন নাইব ও রহমত শাহ দলকে ম্যাচে ফেরান। এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন হাশমতউল্লাহ শাহদি-মোহাম্মদ নবিরাও। এই দুই মিডল অর্ডার ব্যাটারই হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। মূলত্য তাদের ব্যাটে ভর করেই সুপার ফোরের সমীকরণ মেলানোর পথে হাঁটছিল আফগানরা। তবে এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর সেটা কষ্টাসাধ্য হয়ে ওঠে। তারপরও নজিবুল্লাহ-রশিদ সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। তবে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তারা ম্যাচও হেরেছে।
এর আগে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুনারত্নে। আফগানিস্তানের তিন বোলার মুজিব উর রহমান, ফজল হক ফারুকি ও গুলবাদিন নাইব কাউকেই ছাড় দেননি তারা। পাওয়ারপ্লের ১০ ওভারের মধ্যে স্কোরবোর্ডে ৬২ রান তোলেন দুজন।
এরপরই ঘটে ছন্দপতন। করুনারত্নে একাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে ৩৫ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দ্রুত ফিরে যান আরেক ওপেনার নিশাঙ্কাও। তার আগে ৪০ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪১ রান করেন তিনি। ইনিংস বড় করতে পারেননি সাদিরা সামারাভিক্রমাও।
উইকেটে এসে আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করেন মেন্ডিস। চারিথ আসালাঙ্কাকে সাথে নিয়ে ৯৯ বলে গড়েন ১০২ রানের জুটি। তবে সেঞ্চুরি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরেছেন তিনি। রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেন ৮৮ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৯২ রান। আসালাঙ্কার করেন ৪৩ বলে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৬ রান।
ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ৮ বলে ১ বাউন্ডারিতে মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর দুনিথ ওয়েলালাগে ও মাহিশ থিকসান মিলে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। আর তাতেই ২৯১ রানে থামে তাদের ইনিংস।
আফগানিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন গুলবাদিন নাইব। দুটি উইকেট শিকার করতে রশিদ খান খরচ করেছেন ৬৩ রান। এছাড়াও মুজিবউর রহমান নিয়েছেন একটি উইকেট।
ভোরের পাতা/কে