প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৯:৫২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুরে বুড়িরহাটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও শতাধিক হাত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়।
সোমবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শরীয়তপুর সদর উপজেলার বুড়িরহাট বাজার এলাকার শরীয়তপুর চাঁদপুর মহাসড়কে বুড়িরহাট আঞ্চলিক ছাত্রলীগের সভাপতি জুম্মান বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক তাওসিফ আহম্মেদ মোল্লার অনুসারীদের মধ্যে এঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের সমাবেশে লোক কম নেওয়াকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুর বুড়িরহাট ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে ঢাকায় বসে কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনা জেলা ছাত্রলীগের নজরে আসলে জেলা ছাত্রলীগ বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। কিন্তু ওই ঘটনার জেড় ধরে গত শনিবার তাওসিফের অনুসারীরা জুম্মানের চাচা আব্দুস সামাদ বেপারীকে মারধর করেন। মারধরের বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য আগামি বৃহস্পতিবার সময় নির্ধারণ করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা। সালিশের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র রাম দা, ছেন দা ও শত শত হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হামলা কারীরা ইয়াসিন বেপারীর হোটেলসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট করে। পরে খবর পেয়ে পালং থানা ও ডামুড্যা থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয় পক্ষে ইয়াসিন বেপারী (৪০), কালু বেপারী (৩৪), মহাম্মদ আলী (৩০), হান্নান বেপারী (৩২), জুম্মন বেপারী (২৮), ইমন বেপারী(২৪), সিজান বেপারী (১৭), মালেক হোসেন (২৬) আতাউর রহমান (২০) ও আহাম্মদ আলী (৩০) সহ অন্তত ১২ জন মারাত্নক আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে এদের মধ্যে আহাম্মদ আলীকে আশংকা জনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে প্রেরণ করে চিকিৎসক।
বুড়ির হাট আঞ্চলিক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুম্মন বেপারী বলেন, ঢাকার সমাবেশে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র সাধারন সম্পাদকের সাথে আমার কথা কাটা কাটি হয়। সেই ঘটনা জেলা ছাত্রলীগের নেতারা মিমাংসা করে দেয়। তারপর এলাকায় এসে আমার চাচাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে সাধারণ সম্পাদকের লোকজন।
বুড়ির হাট আঞ্চলিক শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাওসিফ আহম্মেদ বলেন, ঢাকার বিষয়টি জেলা ছাত্রলীগ ঢাকায় বসে মিমাংসা করে দিয়েছেন। আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। বুড়িরহাটে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে শুনেছি। তবে কী নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে তা আমি জানি না। আমি বা আমার কোনো লোক ওই ঘটনার সাথে জড়িত নন।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ছাত্রলালীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত রয়েছে।