আওয়ামী লীগ কখনো নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসেনি বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। যারা কখনো নির্বাচন ব্যতীত ক্ষমতায় আসেনি। আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠিত হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি বিভিন্ন ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করেছিল। তাদের গৃহীত অপকৌশলের কারণে নির্বাচন ও গণতন্ত্রে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে সেটির দায়ভার তাদের নিতে হবে। এসব কারণে বিএনপি জনগণের সামনে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছে এবং নিজেদের নির্বাচন আতঙ্ক কাটাতে তাদের নেতারা প্রতিনিয়ত পাগলের প্রলাপ বকছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ চায় সব দলের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠিত হবে। কিন্তু বিএনপির গৃহীত অপকৌশলের কারণে নির্বাচন ও গণতন্ত্রে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বিএনপি জনগণের সামনে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছে
বিএনপির আন্দোলনকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করে দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে উপহাস করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এতে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে উপহাস এবং হেয় করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম অধ্যায়। সামরিক ছাউনিতে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দল বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের সঙ্গে তার তুলনা হতে পারে না।
কাদের বলেন, যারা ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করেছে এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করেছে, তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা মানায় না। মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম অধ্যায়। সামরিক ছাউনিতে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দল বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের সঙ্গে তার তুলনা হতে পারে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই অপপ্রয়াসই প্রমাণ করে যে তাদের অবস্থান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। জনগণের সম্মিলিত ইতিহাসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নতুন বয়ান তৈরির অপচেষ্টা বিএনপির ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত এবং তা অর্থবহ হয়েছে। স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেকের ঘরে পৌঁছে দিতে আওয়ামী লীগ সর্বদা মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিপরীতে বিএনপির নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি সেই অগ্রযাত্রা বারবার বাধাগ্রস্ত করছে।
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতা-কর্মীদের পণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আবার বিএনপির রাজনৈতিক স্লোগান হলো ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। তাহলে কী তাদের নেতা-কর্মীরা পণ করে বিএনপি শাসনামলে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার মিছিলে অংশগ্রহণ করবে? বিএনপি মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানাবো যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয় এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরত থাকার পণ করানোর। তাহলে সেটি দেশ ও দেশের জনগণ সবার জন্য মঙ্গলজনক হবে।
ভোরের পাতা/কে