রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: কর্মোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি সম্ভব   নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়: রাষ্ট্রপতি   নির্বাচনে ২১ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন ইসির   দেশজুড়ে যে তিনদিন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা!   মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি ৯ জানুয়ারি   প্রাথমিকের ছুটি বাড়ল ১৬ দিন (তালিকা)   নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
ডেপুটি এমরানের বক্তব্য কাউকে খুশি করার জন্য: অ্যাটর্নি জেনারেল
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৪:১৯ পিএম আপডেট: ০৫.০৯.২০২৩ ৪:২৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ড. ইউনূসকে নিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার বক্তব্যের পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে বলে জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেছেন, কাউকে খুশি করার জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমন বক্তব্য দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন এ কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি উনাকে সই করতে বলিনি। আমি কোনোদিনও কোনো এক কর্মকর্তা বা কাউরে বলি নাই যে, আপনি এটাতে সই করেন বা না করেন। আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, আমার অফিসে এ ধরনের কোনো স্টেটমেন্ট রেডি হয়নি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে পাল্টা বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া কাউকে খুশি করার জন্য এসব করেছেন। নিশ্চয়ই তার কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ড. ইউনূসের পক্ষে ১৬০ জনের বিবৃতির প্রথম দিনেই অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে বলে দিয়েছি, ওনারা (ইউনূসের পক্ষে) যে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন তা সঠিক হয়নি, কারণ তারা জানতেন না- সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক তাদের (ড. ইউনূসের) আবেদন দুইবার প্রত্যাখ্যান হয়েছে।

‘সর্বোচ্চ বিচারিক আদালত যখন বলে এটা হবে তখন প্রশাসনিকভাবে কেউ প্রত্যাহার করতে পারে না। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, যারা ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন তারা এটা জানেন না। সে কারণে আমি প্রথমদিনই বলে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, এখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলার পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের কি আর স্বাক্ষর করার প্রয়োজন আছে? আপনারা কি মনে করেন। আমি তো নিজেই এই অফিস থেকে বলে দিয়েছি। আমি বলা মানেই তো অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস বলা।

‘তারপরও বলছি- সবাইকে স্বাক্ষর করতে হবে এই কথা আমি বলিনি। এটা বলার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, দ্বিতীয় কথা হলো- তার যদি এটা মনে হয়, যে আমি সাবইকে স্বাক্ষর করতে বলেছি, তাহলে তিনি তো আমার কাছে জানতে চাইতে পারতেন, আমি এমন কোনো নির্দেশনা দিয়েছি কি না। তিনি সেটা তো জানতে চাননি। তার মানে কী? তিনি আমার কাছে জিজ্ঞেস না করেই কীভাবে জানলেন আমি বলেছি স্বাক্ষর করতে।

কাউকে খুশি করার জন্য ডিএজি এমনটি করেছেন উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কালকে তো ওনার ছুটি ছিল, তার তো কোনো ডিউটি ছিল না। ওনি স্যুট টুট পরে চলে এসেছেন। তিনি টিভির সামনে গিয়ে কী কারণে ব্রিফ করলেন, কেন করলেন, কোন উদ্দেশ্যে করলেন সেটা আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন। কাকে খুশি করার জন্য তিনি এসব কথা বলেছেন।

উনি তো বলেছেন, হোয়াটসঅ্যাপে এ নির্দেশনা গেছে- এমন প্রশ্ন করলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি তো বললাম, উনি আমার সাথে কথা বলবেন না। আমি নিজে করিনি কোনো হোয়াটসঅ্যাপ। উনার কোনো উদ্দেশ্য আছে।

এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কেউ না। আমি তো অ্যাপায়নটেন্ট না। এটা সবাই ওয়াকিবহাল।

অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের একাধিক আইন কর্মকর্তা বলছেন, খোলা চিঠির প্রতিবাদে বিবৃতির জন্য গত রোববার থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন সাধারণ আইনজীবীরা। যার একটি কপি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে অনেকেই সই করেছেন, আবার কেউ কেউ করেননি। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে এতে সই করতে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

এর আগে, সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বক্তব্যে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তিনি বিচারিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে আমি মনে করি।

তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূসের পক্ষে ১৬০ জন বিদেশি ব্যক্তি বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটনও রয়েছেন। ওই বিবৃতির বিরুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ড. ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না। এ ছাড়া ড. ইউনূসের পক্ষে বিদেশিরা যে বিবৃতি দিয়েছেন, আমি তাদের সঙ্গে একমত।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনসহ বিশ্বের ১৬০ জন ব্যক্তি ড. ইউনূসের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলাচিঠি দিয়েছেন। ১০০ জনের বেশি নোবেলজয়ীর দেওয়া ওই চিঠিতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বিচারকাজ স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে চিঠিতে বিগত দুটি নির্বাচনের বৈধতার সংকট ছিল জানিয়ে সামনের নির্বাচনের দিকে তাদের নজর রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।


ভোরের পাতা/কে 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]