তবে আরেক ব্যাটার আসিফ ঠিকই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ম্যাচে ৫৮ রান করে ফিরেছেন। তবে আসিফ ফেরার আগে ফিরেছেন আরও ৩ ব্যাটার। তাই আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিল নেপালের মিডল-অর্ডার। আসিফ যখন ফেরেন, তখন দলীয় রান ১৩২, ৫ উইকেট হারিয়ে।
গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের সতীর্থ ছিলেন দিপেন্দ্র সিং আইরি। আইরি ও সোমপাল কামি মিলে গড়লেন আরেক জুটি। আইরির ব্যাট থেকে আসে ৩ টি চারের মার। স্ট্রাইক রোটেড করে দলের রান এগিয়ে নিয়েছেন, যতদূর সম্ভব হয়। সাথে ছিলেন সোমপাল। দুজনের জুটি অর্ধশতক পূরণ করে। কিন্তু থামে সেখানেই। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে লেগ বিফোরের শিকার হন আইরি, ফিরে যেতে হয় ২৫ বলে ২৯ রান করে। দলীয় রান তখন ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৪। চলছিল ৪২ ওভারের খেলা।
সোমপাল ছিলেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে আসেন স্বন্দীপ লামিচানে। লামিচানেকে সাথে নিয়ে আবারও নতুন জুটি গড়ার চেষ্টা চোখে পড়ে সোমপালের ব্যাটে। ৪৬ তম ওভারের শেষ বলে পান্ডিয়াকে উড়িয়ে মারলেন, বল গিয়ে পড়ল বাউন্ডারির বাইরে, ছক্কা। শর্ট বলে নেপালের খেলোয়াড়দের ভাল চার্জ করতে দেখা যায়। পরের ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের শেষ বলেও ছয় হাঁকান সোমপাল। ৪৭ ওভার শেষে তাই দলীয় রান তখন ২২৭। পরের ওভারে মোহাম্মদ শামির বলে দারুণ এক ক্যাচ নেন ইশান কিষান। ফলে ৫৬ বলে ৪৮ রান করে ফিরতে হয় সোমপালকে। ভাঙ্গে লামিচানের সাথে ৩৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ এই জুটি। সোমপাল যাওয়ার পর পরের ব্যাটাররা আর তেমন কিছু করতে পারেননা। লামিচানে ১৭ বলে ৯ রান করে রানআউট হয়ে ফেরেন। ৪৮.২ ওভারে ২৩০ রানে গুটিয়ে যায় নেপালের ইনিংস।
ভারতীয় বোলারদের পক্ষে, রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ সিরাজ নিয়েছেন ৩ টি করে উইকেট। শার্দুল ঠাকুর, হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামি পেয়েছেন ১ টি করে উইকেট।
ভোরের পাতা/কে