কলাপাড়ায় নীলগঞ্জের গৈয়াতলা বেড়িবাঁধে আবারো ভাঙন, আতঙ্কিত ৬ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ
প্রকাশ: রোববার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৯:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কলাপাড়ায় নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গৈয়াতলা বেড়িবাঁধে আবারো ভাঙন শুরু হয়েছে । আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে কৃষকসহ ৬ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মানের দাবি স্থানীয়দের। নীলগঞ্জ ইউনিয়নকে রক্ষার জন্য প্রায় ৫০ বছর আগে সোনাতলা ও আন্ধারমানিক নদীর তীরে নির্মান করা হয় ৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বেড়িবাঁধ।নির্মানের পর নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দেয় এবং মেরামতও করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবরে ঘূর্নিঝড় সিত্রাংয়ে এ বাঁধের গৈয়াতলা পয়েন্টের ১২০ মিটার অংশে ভাঙন দেখা দেয়। পরবর্তেিত এ বছরের মে মাসে ঘূর্নিঝড় মোখা থেকে সাধারন মানুষের জানমাল রক্ষায় ওই অংশে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু জরুরী এই সংস্কারের মাত্র আড়াই মাসের মাথায় আবারো ভাঙন শুরু হয় ওই পয়েন্টেই। সোনতলা নদীতে বিলীন হয়ে যায় জিও ব্যাগসহ রিভার সাইটের ৭০ মিটার বাঁধ। ফাটল দেখা দিয়েছে বাঁেধর বড় অংশ জুড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে গৈয়াতলা, উমেদপুর, হাকিমপুর, মোহাম্মদপুর, মোস্তফাপুর ও পূর্ব সোনাতলা গ্রামের ১০ হাজার মানুষ। একালাবাসীর অভিযোগ, নি¤œমানের কাজ হওয়ায় ধ্বসে পড়েছে ওই অংশের বাঁধ। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের দাবি জানান।
গৈয়াতলা গ্রামের স্থানীয় অধিবাবাসী শফিক হাওলাদার বলেন, জিওব্যাগ ফালানোর কাজ ভালোভাবে করা হয়নি। যার ফলে এখন আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্তমানে বেড়িবাঁধের বড় অংশজুড়েই ফাটল ধরেছে। সামনের অমাবশ্যার জোতে বেড়িবাঁধের গৈয়াতলার অংশ একেবারে নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। যদি বেড়িবাঁধ বিলীন হয় তাহলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কোন শেষ থাকবেনা। তাই সরকারের কাছে এখানে দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মানের দাবি জানাই।
এই এলাকার আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সত্তোরর্ধ কৃষক আবদুর রউফ জানায়, সেসময় তড়িঘড়ি করে কোনরকমে বাঁধ মেরামতের কাজটি করা হয়। যার কারনে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। বেড়িবাঁধের যে অংশে ভাঙছে আমাদের বাড়ি এর পাশেই। আমরা সবসময়ই আতংকের মধ্যে দিন পার করছি। বেড়িবাঁধ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হলে আমরা এখানে আর বসবাস করতে পারবোনা। অনাবাদি থাকবে ফসলী জমি। সেজন্যে এ বাঁধটি পুন:নির্মান করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন অলীদ জানান, গৈয়াতলা বেড়িবাঁধ ৪৬ পোল্ডারের মধ্যে। ওই পোল্ডারে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের লক্ষ্যে বর্তমানে সমীক্ষা চলছে, সমীক্ষা শেষ করে দ্রুত এ বাঁধের কাজ শুরুর আশ্বাস দেন তিনি।