প্রকাশ: রোববার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৮:৫২ পিএম আপডেট: ০৩.০৯.২০২৩ ৮:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস হাউজের গুদামে রাখা ২৫ কেজি স্বর্ণের হদিস মিলছে না। বিমানবন্দরে বিভিন্ন সময়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধপথে আনা স্বর্ণ জব্দ করে বিভিন্ন লকারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই স্বর্ণগুলোর এখন হিসাব মিলছে না। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হলেও কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ।
সপ্তাহখানেক আগে বিষয়টি নজরে এসেছে কাস্টমস কর্মকর্তাদের। ঘটনাটি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ খুলছেন না।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা কাস্টমস হাউজের কমিশনার একে নুরুল হুদা আজাদকে কয়েক দফা কল করে পাওয়া যায়নি। সারাদিন তাকে কল ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলেও তার কোনো জবাব মেলেনি।
কাস্টমস সূত্র জানায়, কাস্টমসের গুদামে কাস্টমসের কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারেন না। এই সুরক্ষিত গুদামে চুরি হলো কীভাবে তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে। কাস্টমসের কেউই করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিমানবন্দরে পালা করে দায়িত্ব পালন করেন কাস্টমসের বিভিন্ন কর্মকর্তারা। তাদের যে টিম যা ধরে এবং জব্দ করে তা তারা এতদিন গুদামেই রাখত। কিন্তু সম্প্রতি এ ঘটনার পর তাদের লকারে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেটার জন্য প্রত্যেকের একটি করে লকার বরাদ্দ আছে। স্বচ্ছতা আনার জন্য ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার একেএম নুরুল হুদা আজাদ শিফটভিত্তিক জব্দ হওয়া সোনা আলাদা আলাদা করে রাখার নির্দেশ দেন।
এদিকে এ ঘটনায় চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। তারা ভয়ে কারও ফোনও ধরছেন না। তবে এ ঘটনায় তারা তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। যদিও এখনো মামলা হয়নি।
চুরি হওয়া স্বর্ণের পরিমাণ ২৫ কেজি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই চুরির সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাই জড়িত বলে নিশ্চিত হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।