প্রকাশ: রোববার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৮:২৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে গত ২৪ আগস্ট তা’কাইয়া ইয়ং নামের অন্তঃসত্ত্বা এক কৃষ্ণাঙ্গ নারী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। কালো রঙের একটি গাড়ির ভেতর থাকা ওই নারীকে পুলিশ বাইরে বের হয়ে আসতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই নির্দেশ না মানায় খুব কাছ থেকে গাড়ির ভেতরই তাকে গুলি করা হয়।
আর ২১ বছর বয়সী অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পুলিশের গুলি করে হত্যার সেই ভয়াবহ ভিডিওটি প্রকাশ করেছে ওহাইওর ব্লেনডন টাউনশিপ বিভাগ পুলিশ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, ওই নারীকে চুরির অভিযোগে জেরা করছিলেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
পুলিশ বিভাগের প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তা’কাইয়া ইয়ং তার কালো সেডান গাড়ির ভেতর বসে আছেন। তখন এক পুলিশ কর্মকর্তা বারবার তাকে বলতে থাকেন, ‘বাইরে বের হয়ে আসুন।’ তখন ওই নারী পাল্টা প্রশ্ন করেন ‘আমি কেন বের হব। আমি এটি করব না।’ তখন পুলিশকে বলতে শোনা যায় ‘আপনি জিনিসপত্র চুরি করেছেন।’ এরপর ওই নারী বলেন, ‘আমি এ ধরনের কিছু করিনি। অন্য মেয়েরা করছিল।’
তখন এক পুলিশ কর্মকর্তা চিৎকার করে বলতে থাকেন ‘গাড়ি থেকে বের হয়ে আসুন।’ কিন্তু গাড়ি না থামিয়ে তা’কাইয়া ইয়ং চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এরপর গাড়িটি আস্তে করে গিয়ে পাশের দেওয়ালে ধাক্কা দিয়ে থেমে যায়।
এরপর পুলিশ কর্মকর্তারা কাছে গিয়ে গাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করেন। সেটিতে ব্যর্থ হয়ে তারা জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলেন।
পুলিশ পরবর্তীতে জানায়, দুই সন্তানের জননী তা’কাইয়া ইয়ং ও তার অনাগত সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু গুলির আঘাতে দুইজনেরই প্রাণ যায়। আগামী নভেম্বরে ওই নারীর সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা ছিল।
এদিকে এ ভিডিও দেখার পর তা’কাইয়া ইয়ংয়ের পরিবার বলেছে, এ মৃত্যু নিশ্চিতভাবে এড়ানো যেত। যারা এরসঙ্গে জড়িত তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
ওই নারীকে হত্যার সময় ঘটনাস্থলে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত করা হবে।