প্রকাশিত হলো কবি ও আবৃত্তিশিল্পী কামরুল হাসান নাসিমের চার কবিতার অ্যালবাম। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর যাত্রাবিরতি রেস্টুরেন্টে কবি ও আবৃত্তিশিল্পী কামরুল হাসান নাসিমের কবিতার চার অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন ও একক আবৃত্তি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাসিমের মনোমুগ্ধকর আবৃত্তি ও বাঁশি সেতারের বাদ্যে মেতে ওঠেন দর্শনার্থী-শ্রোতারা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অ্যালবামগুলোর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা কবিতার তিনটি অ্যালবাম নেত্র, বাহির, মেঘ ছাড়াও ইংরেজি কবিতার লুসিফার শীর্ষক অ্যালবামগুলোতে ঠাঁই হয়েছে কবির পঁয়তাল্লিশটি কবিতা।
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে অ্যালবামগুলোর মোড়ক উন্মোচন করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উপপরিচালক সুহিতা সুলতানা, সাংবাদিক ও কলামিস্ট জব্বার হোসেন, হাইওয়ে ব্যান্ডের ভোকাল ইথার, কেএইচ এন সেক্রেটারিয়েট এর সিইও আয়শা এরিন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘কামরুল হাসান নাসিম নাসিমের কবিতা উঠে এসেছে গভীর দর্শন, রাজনৈতিক সচেতনতা ও সমাজ, রাষ্ট্র ও মানুষ ও প্রাণ প্রকৃতির সংকটগুলো। যা তার আবৃত্তির মধ্য দিয়ে নতুন একমাত্রায় আমাদের সামনে হাজির করে।’
নাসিম জানান, অ্যালবামগুলোতে তিনি চেষ্টা করেছেন যতটা সম্ভব সহজ ও আবৃত্তিযোগ্য কবিতাগুলো রাখার। যেন মানুষের কাছে তা সহজে পৌঁছায়।
নাসিম তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জগতে একটা বন্ধ্যাকাল চলছে। মৌলিক সৃষ্টির খরা চলছে। প্রভাবসর্বস্ব সৃষ্টিতে মেতেছেন আমাদের শিল্পীরা। শুধু চিত্ররূপময় কবিতা আমি লিখিনি। আমি বলতে চেয়েছি আমার যা বলার। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নয়, এসব আমার স্বতন্ত্র মৌলিক উচ্চারণ। জনপ্রিয়তা আমাকে স্পর্শ করে না। কিন্তু আমি জানি সময় আমাকে খুঁজে নিতে হবে। আবৃত্তির ক্ষেত্রেও বলব, আমি ধারা ভেঙে নতুন করে কিছু করতে চেয়েছি। সমঝদার শ্রোতারা নিশ্চয়ই তা বুঝতে পারবেন।’
নাসিম বলেন, ‘আমি মনে করছি, এখন আমার দেওয়ার সময়। সাহিত্য-শিল্প সংস্কৃতি, রাজনীতিসহ ২২টি অঙ্গনের মাধ্যমে আমি পৃথিবীকে আমার উপলব্ধিজাত সত্য এবং দর্শনগুলো দিয়ে যেতে চাই।’
মোড়ক উন্মোচন পর্ব শেষে নাসিম তার বেশ কয়েকটি কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কে এইচ এন টিউন ক্ল্যাসিক উইং। নাসিমের কণ্ঠের অন্তরালে ছিলেন-গিটারে তৌহিদ, সেতারে শ্রাবণ, বাঁশিতে জাবিউল ইসলাম ও কি বোর্ডে দীপু।