শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: কর্মোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি সম্ভব   নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়: রাষ্ট্রপতি   নির্বাচনে ২১ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন ইসির   দেশজুড়ে যে তিনদিন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা!   মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি ৯ জানুয়ারি   প্রাথমিকের ছুটি বাড়ল ১৬ দিন (তালিকা)   নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে বাংলাদেশ চলতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৬:৪৯ পিএম আপডেট: ০১.০৯.২০২৩ ৭:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। আর আমরা ছাত্রদের হাতে খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলাম। সেজন্যই বলি অশিক্ষিত ও মূর্খদের হাতে বাংলাদেশ চলতে পারে না। দেশের উন্নতি হতে পারে না।

শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়ার সময় হাতুড়ি দিয়ে আমার কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। মা-বোনদের পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। আর আমরা ছাত্রদের হাতে খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা ও নির্যাতন করেছিল। তারা হাওয়া ভবন খুলে দেশটাকে লুটপাট ও জঙ্গির দেশ বানিয়েছিল। যার ফলে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কোনো দিন এদেশের কল্যাণ চায়  না। যাদের জন্ম ডিকটেটরের মাধ্যমে, মার্শাল ল জারির মাধ্যমে তারা নাকি গণতন্ত্র উদ্ধার করবে। অশিক্ষিত ও মূর্খদের হাতে ক্ষমতা গেলে দেশের কোনো অগ্রগতি হয় না। ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি বন্দি জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত উন্নয়ন করেছিলাম। কিন্তু খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় গিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, এসব কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছিল। কারণ, তাদের ওপর জনগণ আস্থা রাখে না। অথচ যখনই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে দেশের উন্নয়ন হয়েছে। কারণ, আমরা জনগণের জন্য কাজ করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মাসেতু করতে আমাদের দুর্নীতির বদনাম শুনতে হয়েছিল একটি ব্যাংকের এমডির জন্য। একটি বড় দেশ সেই এমডিকে পুনরায় এমডি বানানোর জন্য চাপ দিয়েছিল। আমরা পদ্মাসেতু করে দেখিয়েছি বাংলাদেশের মানুষ পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, শহীদের খাতায় নাম দেখতে চাইলে দেখবো- ছাত্রলীগই বুকের রক্ত দিয়ে সব সংগ্রামে ছিল। এমনকি ৭৫ এর পরে ছাত্রলীগই প্রথম প্রতিবাদ করে। বাংলাদেশের যেকোনো দুর্যোগে ছাত্রলীগ সক্রিয় ছিল, অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ২০০৭ সালে আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন ছাত্রলীগই মাঠে নেমেছিল। এ ছাত্রলীগই হচ্ছে সেই শক্তি, যারা একদিন এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে।করোনায়ও ছাত্রলীগ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিপদের সময় আমার নির্দেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কাস্তে হাতে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে। এজন্য তাদের প্রতি আমার অনেক বিশ্বাস এবং আস্থা।

তিনি বলেন, তারুণ্যের শক্তিতে দেশ এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে যে ছাত্রসংগঠন তৈরি তাদের মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে।

খুনিদের কাছে জীবন ভিক্ষা চাননি বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। একই সঙ্গে আমার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকেও হত্যা করা হয়। যিনি সব সময় আমার বাবার পাশে ছিলেন। পাশে থেকে আমার বাবাকে সব সময় অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা দেশের মুক্তি জন্য সংগ্রাম করছেন সেটা আমার মা খুব ভালো করেই জানতেন। তাই প্রতিটি কাজেই তিনি সহযোগিতা করে গেছেন। আর সেই ৭৫ সালে মৃত্যুকালেও তিনি তার সাথী হলেন। জীবন ভিক্ষা চাননি, খুনিদের প্রতিহত করেছেন তাকেও ঘাতকরা ছাড় দেননি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতার সারা জীবনের সংগ্রাম ছিল বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন। বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি অর্জন ছিল তার লক্ষ্য।

হাসিনা বলেন, আজকে অনেক সংগঠন মানবাধিকারের কথা বলে। ৮১ সালে যখন আমি ফিরে এসেছি, তখন তো আমি মা-বাবা-ভাইবোন হত্যার বিচার চাইতে পারিনি। জিয়াউর রহমান খুনিদের ক্ষমতায় বসায়। প্রতি পদে পদে বাধা সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু কোনো বাধাই আমাকে আটকাতে পারেনি। আমি বাবার স্বপ্নপূরণ ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করে দেশে এসেছি। মাঠের পর মাঠ হেঁটেছি। দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েছি। দেখতে চেয়েছি, এদেশের মানুষের কী অবস্থা? আমার বাবা-মার রক্ত নিয়ে তারা দেশের কী করেছে?

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরাসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

এর আগে সমাবেশে যোগ দিতে সারাদেশ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে এসেছেন। রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হয়েছেন নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই তারা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে প্রবেশ করে সমাবেশস্থলে যান।


ভোরের পাতা/কে 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]