প্রকাশ: শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৬:৩১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দেশের তরুণ প্রজন্মকে জাগ্রত করতে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ছাত্রসমাবেশকে সফল করতে ব্যাপক প্রস্ততি নিয়েছে ছাত্রলীগ। বৃষ্টির বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। একত্রে আদায় করেছেন জুমার নামাজ। এদিন শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল বিনামূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সমাবেশে দূর-দূরান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে পানি বিতরণ করেছে ছাত্রলীগ। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিনামূল্যে পানি বিতরণের দায়িত্বটি পালন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ।
নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সমাবেশস্থলে পাঁচ লাখ বোতল মিনারেল ওয়াটার আনা হয়েছে। এ ছাড়া রিজার্ভ রাখা হয়েছে আরও দুই লাখ বোতল। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা দানকারী বিভিন্ন সংস্থার মেডিকেল ক্যাম্পও রয়েছে সমাবেশস্থলে।
এর আগে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তাকে স্বাগত জানান ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এরপর ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ছাত্র সমাবেশ শুরু হয়।
এদিন সমাবেশে যোগ দিতে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্রনেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। ফলে উদ্যানের চারপাশ মিছিলে মুখরিত হয়ে যায়। সেই সঙ্গে প্রবেশমুখেও ভিড় বাড়ে।
সমাবেশে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকেই অবস্থান করেন নেতাকর্মীরা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে দেখা যায়। দুপুর ১টার পর থেকে রাজধানীর বাইরে থেকে আসা সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মীদের ভিড় বাড়ে সমাবেশের প্রবেশমুখে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি গেট, বাংলা একাডেমির সামনের অংশ ও রমনার আইইবির সামনের গেটে ভিড় করেন নেতাকর্মীরা। এতে সমাবেশস্থলের প্রবেশমুখেই দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়।
এদিকে ছাত্রসমাবেশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করছে র্যাব। যানবাহন চলাচলে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।