প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩, ৭:১৭ পিএম আপডেট: ৩১.০৮.২০২৩ ৭:২২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ইরানে মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে জড়িত থাকার দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) কারাগারে মারা গেছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
ইরানি-কুর্দিশ আমিনি গত ২২ সেপ্টেম্বর দেশটির কঠোর পোশাকের নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে তেহরানের নীতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মারা যান। তার মৃত্যু মাসের পর মাস বিক্ষোভের সূত্রপাত করে, যা ইরানের ইসলামী প্রজাতন্ত্রের দ্রুত উৎখাতের আহ্বানে পরিণত হয়।
ইরানের বিচার বিভাগের মিজান নিউজ ওয়েবসাইট অনুসারে, জাভেদ রুহি বৃহস্পতিবার ভোরে কারাগারে খিঁচুনি অনুভব করলে তাকে উত্তরের শহর নওশহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে তাকে বাঁচাতে চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও অবশেষে তিনি মারা যান।
বিষাক্ত পরীক্ষাসহ মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য রুহির দেহ ফরেনসিক মেডিক্যাল পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে মিজান জানিয়েছে। ময়নাতদন্ত ও নমুনা সংগ্রহের জন্যও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মিজান বলেছে, রুহিকে যে কারাগারে বন্দি করা হয়েছিল সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হবে।
পাশপাশি নোট, ওষুধসহ তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নথিভুক্ত করা হবে।
‘পৃথিবীতে দুর্নীতির’ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রুহিকে জানুয়ারিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। আধাসরকারি তাসনিম নিউজ এজেন্সি সেই সময় প্রতিবেদনে বলেছিল, তিনি নওশহর শহরে বিক্ষোভে একজন ‘নেতা’ ছিলেন, যেখানে তিনি ‘উল্লেখযোগ্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড’ করেছিলেন।
রুহির বিরুদ্ধে কোরআন পোড়ানোর মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এবং ধর্মত্যাগসহ একাধিক অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ইরানি কর্তৃপক্ষ আমিনির মৃত্যু পরবর্তী বিক্ষোভকে বিদেশি শক্তির প্ররোচিত ‘দাঙ্গা’ হিসেবে দেখে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, বিক্ষোভকে কর্তৃপক্ষ সহিংসভাবে দমন করায় শত শত লোক মারা গিয়েছিল এবং হাজার হাজার মানুষকেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ভোরের পাতা/কে