প্রকাশ: বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩, ৭:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ওপর ‘হস্তক্ষেপ’ এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ। বুধবার (৩০ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সম্প্রতি গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি বেশ কিছু নোবেল লরিয়েট বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উপর অযাচিতভাবে মন্তব্য করছেন। ড. মোহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থেকে সরকারের সকল বিধিবিধান অনুসরণ করে তার প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশের অন্যান্য নাগরিকের মতো ড. মোহাম্মদ ইউনূসকেও দেশের প্রচলিত আইন-কানুন মেনেই প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এর ব্যত্যয় হওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ মনে করেন। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর পক্ষে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নিকট বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার উপর হস্তক্ষেপমূলক একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন যা খুবই দুঃখজনক।
পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ নোবেল লরিয়েটসহ আন্তর্জাতিক ব্যক্তিবর্গের এধরনের খোলা চিঠি প্রেরণ স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার উপর হস্তক্ষেপের অপপ্রয়াস বলে মনে করেন এবং এধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন। নোবেল বিজয়ীদের মানুষ সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে কিন্তু বাংলাদেশের মতো স্বাধীন দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা সকল নাগরিকের জন্য সমান বিধায় কারো পক্ষে প্রভাবান্বিত করতে চাওয়া কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানান তারা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান খান, মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), পিইঞ্জ., প্রেসিডিয়াম সদস্য- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ইঞ্জিনিয়ার এস. এম. খাবিরুজ্জামান, পিইঞ্জ., সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন- বাংলাদেশ (আইইবি)-এর প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুরসহ অন্যরা।