এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের পর্দা উঠলো পাকিস্তানের মুলতান শহরে। মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে নবাগত নেপালের বিপক্ষে টস জিতে উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে করেছেন ৩৪২ রান। জিততে হলে নেপালেকে করতে হবে ৩৪৩ রান।
ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ষষ্ঠ ওভারে নেপালকে প্রথম সাফল্য এনে দেন কারান ছেত্রী। ২০ বল খেলে ১৪ রান করে তার ওভারে উইকেটের পেছনে আসিফ শেখের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ফখর জামান। পরের ওভারের প্রথম বলে রোহিত পৌডেলের মিড অফ থেকে করা সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে যান ইমাম উল হক। ১৪ বল খেলে স্রেফ ৫ রান করেন তিনি। ২৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেল দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম।
কিন্তু ম্যাচের ২৪তম ওভারে উড়তে থাকার রিজওয়ানকে থামান সন্দ্বীপ লামিচানে। কভার থেকে নন স্ট্রাইকার প্রান্তে দুর্দান্ত থ্রোতে রিজওয়ানকে রান আউট করেন সন্দ্বীপ। এতে ৪৪ রানেই থামতে হয় পাকিস্তানের এ টপ অর্ডারকে।
এরপর বাইশ গজে আসেন আগা সালমান। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই লামিচানের বলে শর্ট থার্ডে ভুরটেলের তালুবন্দী হন তিনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে পাকিস্তান।
তবে বাবর-ইফতিখার জুটিতে বিপদমুক্ত হয় পাকিস্তান। ম্যাচের ৪২তম ওভারের প্রথম বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তু্লে নেন ইফতিখার। এরপরের বলেই ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরির দেখা পান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
এরপর দুইজনে ধীরে ধীরে নেপালি বোলাদের মোকাবেলা শুরু করেন। দেখেশুনে খেলে দুইজনের ব্যাটে ৩০০শত রান পার করে পাকিস্তান। এ সময় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়বারের মতো দেড়শত রানের মাইলফলক র্স্পশ করেন বাবর। মাত্র ১২৯ বলে ১৫০ রান করেন তিনি। সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া আরেক ব্যাটার ইফতেখার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ৭১ বলে ১০৯ রান করেন।
ভোরের পাতা/কে