প্রকাশ: বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩, ৫:৫৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জে দায়ের করা মানহানির মামলায় হাজিরা না হওয়ায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন গোপালগঞ্জ আদালত।
বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১-এর বিচারক শেখ মো. রুবেল এ পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বাদী ও সরকারী কৌঁসুলি এডভোকেট দোলোয়ার হোসেন সরদার বলেন, মানহানির মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর আদালতে হাজির হবার নির্ধারিত তারিখ ছিল আজ। কিন্তু তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজির হননি এবং তার পক্ষের আইনজীবীরা নতুন তারিখ চাইলেও অসুস্থতার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পরপর তিনটি তারিখ তিনি আদালতে হাজির হননি। ফলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট কাজী আবুল খায়ের বলন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অসুস্থ। ফলে তিনি হাজির হতে না পারায় আমরা পরবর্তী তারিখ চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করেন। এ ছাড়া মামলার বাদী গোপালগঞ্জ জজ কোর্টের সরকারি কৌশলী অ্যাডভোকেট দোলেয়ার হোসেন সরদারসহ আওয়ামী লীগের ২৩ নেতা-কর্মীকে রাজাকার বলে উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি ২৩ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন ও ২৪ ডিসেম্বর পত্রিকায় ছাপা হয়।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দেলোয়ার হোসেন সরদার বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ আদালতে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রকাশক সালমা ইসলামকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পরে এ মামলাটি সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে রুহুল কবির রিজভীকে অভিযুক্ত করে এবং দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
ভোরের পাতা/কে