কাজী শাহেদ আহমেদের জন্ম ১৯৪০ সালে, যশোরে। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশের পর তিনি ১৪ বছর আর্মিতে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্রতিষ্ঠাকালীন প্ল্যাটুন কমান্ডারদের একজন। ১৯৭৯ সালে ‘জেমকন গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তাঁর ব্যবসায়ী জীবন শুরু।
কাজী শাহেদ আহমেদের তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে কাজী নাবিল আহমেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ এবং বর্তমান সংসদ সদস্য। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি।
মেজ ছেলে কাজী আনিস আহমেদ খ্যাতিমান লেখক ও ইংরেজি ভাষার দৈনিক সংবাদপত্র ঢাকা ট্রিবিউন এবং বাংলা ভাষার অনলাইন সংবাদপত্র বাংলা ট্রিবিউন এবং সাহিত্য পত্রিকা বেঙ্গল লাইটস-এর প্রকাশক।
ছোট ছেলে কাজী ইনাম আহমেদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক।
কাজী শাহেদ আহমেদ জীবনের বেশিরভাগ অংশজুড়ে তিনি নতুন ধরনের উদ্যোগ নিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। পত্রিকা, ব্যবসা কিংবাশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবকিছুতেই নতুনত্বের ছোঁয়া তার হাত দিয়ে।
বাংলাদেশে প্রকাশিত পত্রিকায় যে আধুনিকতার উপস্থিতি তার শুরুই হয়েছিল কাজী শাহেদ আহমেদের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘আজকের কাগজ’ পত্রিকার হাত ধরে। যা তৎকালীন মুক্তমত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
কাজী শাহেদ প্রকাশক ও সম্পাদক ‘খবরের কাগজ’ ও ‘আজকের কাগজ’। বাংলাদেশে প্রথম অর্গানিক চা বাগানের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর অলাভজনক উদ্যোগের মধ্যে আছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও কাজী শাহেদ ফাউন্ডেশন। তাঁর স্ত্রী আমিনা আহমেদ একজন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী।
লেখালেখিতেও কাজী শাহেদ আহমেদ সোনালি স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর প্রবন্ধগ্রন্থ ‘ঘরে আগুন লেগেছে’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। ২০১৩ সালে তাঁর তেয়াত্তর বছর বয়সে প্রথম উপন্যাস ‘ভৈরব’ প্রকাশিত হয়। আত্মজীবনী ‘জীবনের শিলালিপি’ প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। একই বছর প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘পাশা’। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘দাঁতে কাটা পেনসিল’। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘অপেক্ষা’। ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে ‘ভৈরব’ এবং প্রকাশের অপেক্ষায় আছে আত্মজীবনীর ইংরেজি অনুবাদ ও অন্যান্য গ্রন্থ।