আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সাঈদ আহমেদ রাজা, সানজিদা খানম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার বন্ধে ২০১৫ সালে আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন। ভবিষ্যতে কোনও পত্রিকা, ইলেট্রনিক মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যমে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেকের বক্তব্য প্রকাশ, প্রচার, সম্প্রচার বা পুনঃউৎপাদন বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে তথ্য সচিবের প্রতি নির্দেশনা চান বাদী।
রিট আবেদনে তথ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, একুশে টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও তারেক রহমানকে বিবাদী করা হয়।
রিটটির শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি পলাতক আসামি হওয়ায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত। তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিতে তথ্য সচিবের প্রতি কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। মামলার বিবাদীদের এ রুরের জবাব দিতে বলা হয়। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপিত আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
তবে গত ২ আগস্ট তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধে জারি করা রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টে আবেদন (মেনশন স্লিপ জমা) করেন রিটকারী। এরই ধারাবাহিকতায় মামলাটি শুনানিতে ওঠে।
এরপর গত ১০ আগস্ট দেশের সব গণমাধ্যম, ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ সব মাধ্যমে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে করা রিটে বিবাদী তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানা সঠিকভাবে উল্লেখ করে সম্পূরক আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।