প্রকাশ: রোববার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩, ৯:১১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
অনেক আলোচনার জন্ম দিয়ে আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের দল সোল দে মায়োতে নাম লেখান বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ক্লাবের সঙ্গে অনুশীলনও করেছেন তিনি। বাকি ছিল বাফুফের কাছ থেকে ছাড়পত্র। গতকাল সেই জটিলতাও কেটেছে। আর আজ আর্জেন্টাইন তৃতীয় বিভাগের লিগে অভিষেকই হয়ে গেল বাংলার কাপ্তানের।
আজ রোববার আর্জেন্টাইন ক্লাব সোল দে মায়োর জার্সিতে হোম ম্যাচে জার্মিনালের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে জামালের। প্রথম ম্যাচেই ক্লাবটির অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশের এই তারকা ফুটবলার। বাংলাদেশ অধিনায়ককে বরণের সকল প্রস্তুতিই নিয়েছে সোল দে মায়ো। ব্যানার-পোস্টারে বাংলা ভাষার প্রয়োগ দেখা গেছে। অনেক আর্জেন্টাইন ‘ওয়েলকাম জামাল’ ব্যানার করেছে।
সোল দা মায়ো ক্লাব আগেই ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ অধিনায়কের সম্মানার্থে প্রথম ম্যাচটি বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য উন্মক্ত থাকবে। আর্জেন্টিনায় অবস্থিত বাংলাদেশি প্রবাসীদের গ্যালারীতে আসতে দেখা গেছে ক্লাবের ইউটিউব লাইভে। আর্জেন্টিনার পাশাপাশি বাংলাদেশের পতাকাও উড়তে দেখা গেছে।
বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার অগণিত সমর্থক। সেই সূত্রে আর্জেন্টিনা বাংলাদেশকে ভালোবেসেছে। বাংলাদেশের অধিনায়ককে সর্বোচ্চ সম্মানই দেখানোর চেষ্টা করেছে আর্জেন্টিনার ক্লাবটি। আজকের ম্যাচে সোল দে মায়োর অধিনায়কের আর্মব্যান্ড ছিল জামালের হাতেই। বাংলাদেশের ক্লাব ও জাতীয় দলে খেলা ৬ নম্বর জার্সিও দিয়েছে আর্জেন্টিনার ক্লাবটি।
বাংলাদেশের অধিনায়ক আর্জেন্টিনার লিগে খেলছে বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমের কাছেও। তৃতীয় বিভাগ লিগেও বেশ বড় সংখ্যক মিডিয়ার উপস্থিতি দেখা গেছে। অন্য দিকে বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূইয়া ব্রাজিলের সমর্থক হলেও আর্জেন্টিনার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা মিস করতে চাননি। অনেক জটিলতা কাটিয়ে জামালের আর্জেন্টিনার ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি প্রথম বাংলাদেশি ফুটবলার হিসেবে আর্জেন্টিনার লিগে খেলার রেকর্ড গড়লেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭৫ সালে হংকংয়ের ক্যারোলিন হিল ক্লাবে খেলেছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। এরপর নব্বইয়ের দশকে ইমতিয়াজ সুলতান জনি, শেখ আসলাম, সাব্বির,রুমি,রক্সিরা কলকাতার লিগে খেলেছেন। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম ভারতের ফ্রাঞ্চাইজ লিগ আইএসএলে দলে থাকলেও খেলার সুযোগ পাননি সেভাবে।
ভোরেরপাতা/এফ