প্রকাশ: রোববার, ২০ আগস্ট, ২০২৩, ৩:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ন্যাশনাল ব্যাংকের কোন সভায় আপাতত যোগ দিতে পারবেন না পরিচালক রন হক সিকদার। বাংলাদেশ ব্যাংক এক চিঠিতে তাঁকে এসব সভায় যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে।
রন হক সিকদার ব্যাংকটির পরিচালক পর্ষদ, নির্বাহী কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য। তিনি এনবিএলের প্রয়াত চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারের ছেলে। তাঁর মা মনোয়ারা সিকদার বর্তমানে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান। তাঁর বোন পারভীন হক সিকদার এবং ভাই রিক হক সিকদারও পর্ষদের সদস্য। এনবিএলে দীর্ঘদিন ধরে সিকদার পরিবারের আধিপত্য রয়েছে। রন হক সিকদার পরিচালনা পর্ষদ, নির্বাহী কমিটি এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য।
গত ২৬ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি এ নীতি বিভাগ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংকের ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) পরিচালক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত রন হক সিকদারের পরিচালক নিযুক্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন না নেওয়া পর্যন্ত তিনি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদসহ অন্যান্য সহায়ক কমিটির সভায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনের জন্য পুনরায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট ব্যাংকের ৩৯তম এজিএম অনুষ্ঠিত হয়। এজিএমের আগে নিয়ম অনুযায়ী তৎকালীন পরিচালক ও হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ও পরিচালক মাবরুর হোসেন এবং রন হক সিকদার পদত্যাগ করেন। এজিএমে ভোটে বাদ পড়েন মোয়াজ্জেম হোসেন ও মাবরুর হোসেন। তবে শেয়ারধারীদের ভোটে পুনর্নির্বাচিত হন রন হক সিকদার। এজিএমে অনুমোদনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, গত বছরের ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত ব্যাংকের এজিএমে নির্বাচিত ও পুনর্নির্বাচিত পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। এ জন্য তাদের নির্বাচন/পুনর্নির্বাচনের প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট নথি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনতিবিলম্বে আবেদন করতে হবে।
জানা গেছে, এজিএম শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে ব্যাংকের শেয়ারধারীদের অনলাইনে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এতে অংশ নেন ৭৫৪ জন শেয়ারধারী। অনলাইন ভোটে ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে আবার পরিচালক নির্বাচিত হন রন হক সিকদার। আর মোয়াজ্জেম হোসেন ও পরিচালক মাবরুর হোসেনকে শেয়ারধারীরা প্রত্যাখ্যান করেন বলে এজিএমে জানানো হয়। এজিএমে কোম্পানি সচিব জানান, ব্যাংকটি ২০২১ সালের জন্য লভ্যাংশ দেবে না এবং ৯৫ শতাংশ শেয়ারধারী তাতে সমর্থন দিয়েছেন। অনলাইন ভোটের প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে তখন প্রশ্ন ওঠে।