রিজভী বলেন, তানভীর আহমেদ রবিন শনিবার রাত ১২টার দিকে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হন। এরপর মোটরসাইকেলে করে নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে রওয়ানা হন। তখন আগে থেকে কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশে অবস্থান করা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে নাইটিঙ্গেল মোড়ে ঘিরে ফেলে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে শুনেছি। উপস্থিত অনেক লোক এ ঘটনা দেখেছেন। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সেটা নিশ্চিত হয়েছি। কিন্তু ডিবি পুলিশ তা স্বীকার করছে না। তুলে নিয়ে গিয়ে স্বীকার না করার এই ব্যাপারটি মনুষ্যত্বহীন কাজ। অথচ এ কাজটি তারা ধারাবাহিকভাবে করছে।
রিজভী অবিলম্বে রবিনকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কিবএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে শনিবার ঢাকাসহ দেশব্যাপী পদযাত্রার কর্মসূচি ছিল। ঢাকায় শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি পালিত হয়। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই বিকাল-সন্ধ্যা থেকে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা শুরু হয়। কার্যালয় থেকে যারাই বের হন, তাদেরই গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্য দিয়ে একটি ভয়-আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়। কার্যালয়ের ভিতরে যারা অবস্থান করছিলেন, তারা নিজেদের অবরুদ্ধ ও নিরাপত্তাহীন বোধ করছিলেন।
তিনি বলেন, এই সরকার আগামী নির্বাচনও একতরফা করতে চায়। সে কারণে বিএনপিসহ বিরোধী দল নির্মূলের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিএনপি নেতাদের বেছে বেছে টার্গেট করে গ্রেপ্তার, হত্যা, গুম করা হচ্ছে। কিন্তু এটা করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। জনগণ জেগে উঠেছে।
ছাত্রদলের ছয় নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ছাত্রদলের ৬ নেতাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের চরিত্রে কলঙ্ক লেপনের জন্য সন্ত্রাসী বানানোর জন্য পরিকল্পনার অংশ হিসাবে হাতে অস্ত্র দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কিন্তু দেশবাসী এ ঘটনা বিশ্বাস করে না। এটাকে তারা সাজানো নাটক বলে মনে করে।
ভোরের পাতা/ই