প্রকাশ: বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩, ৯:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মোংলায় ব্যাবসায়ী স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী ও পরকিয়া প্রেমিক সহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে মোংলা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বুড়িরডাঙ্গার দ্বিগরাজ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে মোংলা থানা। এব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ ও বাদি মা নমিতা রায় জানায়, দাকোপ উপজেলার কামনিবাসিয়া গ্রামের প্রশান্ত মন্ডল’র মেয়ে পুষ্পিতা রায়কে প্রায় ১৬ বছর পুর্বে হিন্দু সম্প্রদয়ের রিতি অনুযায়ী বিয়ে করে দ্বিগরাজ এলাকার মৃত ভক্ত দাস রায়’র ছেলে বিষ্মদেব রায়। দাম্পত্য জীবনে তুলনা রায় (১৫), সৃজা রায় (৯) ও ভূমি রায় (৭) নামের তাদের সংসারে ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্ত দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিন দ্বিগরাজ ১নং ওয়ার্ড এলাকার বিমল হালদার’র ছেলে অমলেন্দু হালদারের সাথে পরকিয়া জড়িয়ে পরে স্ত্রী পুস্পিতা রায়। এমন ঘটনা যানতে পেরে স্বামী বিষ্মদেব রায় এ থেকে ফিড়ে আসার জন্য স্ত্রীকে বার বার তাগিদ দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিস্মদেবকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে স্ত্রী ও পরকিয়া প্রেমিক, বলে দাবী মা নমিতা রায়ের। এ ঘটনায় গত ৩ আগষ্ট রাতের পরিবারে সদস্যরা রাতের খাবার খেয়ে যার যার ঘরে ঘুমিয়ে পরে। এদিন ভোর ৫টার দিকে স্ত্রী পুস্পিতা রায়ের কান্নাকাটির শব্দ শুনে সোয়ার কক্ষে গিয়ে বিষ্মদেবকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের স্বজনরা। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদান্ত করে মোংলা থানা পুলিশ।
তবে অনেক আগ থেকেই বিষ্মবেদকে স্ত্রীর ও পরকিয়া প্রেমিকের অত্যাচার-নির্যাতনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যা এখন বাস্তবে রুপ নিয়েছে বলে বলে অভিযোগ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর। স্ত্রীর এ পরকিয়ার বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিশ বৈঠকও হয়েছে কিন্ত তাতে কোন সুরহা হয়নী বলে জানায় ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর।
এঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে মা নমিতা রায় বাদি হয়ে স্ত্রী পুস্পিতা রায়, শ্যালক কৃষ্ণ মন্ডল, পরকিয়া প্রেমিক অমলেন্দু হালদার ও তার সহদর সাবেক ইউপি সদস্য শেখর হালদার সহ ৪ জনকে আসামী করে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করে। এঘটনায় মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী পুস্পিতা রায় ও পরকিয়া প্রেমিক অমলেন্দু হালদারকে গ্রেফতার করে মোংলা থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ সামসুদ্দিন বলেন, গত ৩ আগষ্ট বিষ্মদেব মৃতটা অসাভাবিক মনে হলেও কেউ অভিযোগ না করায় ময়না সম্পন্ন করা তদন্ত হয়েছে এবং অপমৃত মামলা নেয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে মা নমিতা রায় বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে স্ত্রী পুস্পিতা রায় ও পরকিয়া প্রেমিক অমলেন্দু হালদারকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এছাড়া বাকি আসামীদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানায় পুলিশ।