খুলনার পাইকগাছায় বিভিন্ন নার্সারি ব্যবসায়ীদের প্রায় ২শত কোটি টাকার চারা বিক্রির লক্ষ্য রয়েছে। উপজেলার গদাইপুর ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের বিভিন্ন নার্সারির উৎপাদিত উন্নতমানের চারা কৃষক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করছেন। উৎপাদিত চারার মধ্যে আম, জামরুল, আমড়া, পেয়ারা, কদবেল, কুল, মালটা, বেদানা, কাঁঠাল, সবেদা, নারকেল, তেঁতুল, সুপারি, নারকেল, কালোজাম, লিচু, কলা, মালটা, পিস ফল, ননী ফল, রামবুটান, বারোমাসি কাঁঠাল, বকুল, আমলকি, তেজপাতা ও করোসল (ক্যান্সার প্রতিরোধক) রয়েছে।
আমের জাতের মধ্যে রয়েছে আ¤্রপালি, হিমসাগর, ল্যাংড়া, বারি আম-৪, বারি আম ১১ ব্রুনাই কিং, ব্ল্যাক স্টোন, ব্যানানা ম্যাংগো, ফোর কেজি, রেড পাল্মার, সূর্য ডিম, কেউ যাই, ফজলি থাই কাটিমন, মিয়া জাকি, ইয়ান ফাইভ, হাড়িভাংগা প্রভৃতি। উন্নত মানের পেয়ারা জাতের মধ্যে রয়েছে থাই ফাইভ, থাই সেভেন, গোল্ডেন এইট। এছাড়া বল সুন্দরী কুল, ভারত সুন্দরী আপেল কুল, দেশী আপেল কুল, নারকেল কুল, থাই সবেদা, থাই সবেদা গোল, দেশি সবেদা, থায় আমড়া, কাট লিচু, দেশি আমড়া, হর বরই, বেরিকেট সবেদা, জি নাইন কলা ইত্যাদি। নার্সারি মালিক শামসুল, আক্তার, রওসনারা, মিজানুর, নাসির, নজরুল, বিল্লালসহ অন্যরাও তাদের উৎপাদিত চারা বিক্রির সম্ভাবনা ও লাভজনক দেখছেন।
মরিয়াম এন্ড মিম নার্সারির মালিক ও গদাইপুর নার্সারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল সরদার বলেন, সে ১৭ বিঘা জমিতে ফলজ, বনজ, ভেজষ ও শোভা বর্ধনকারী প্রায় ২০০-২৫০ প্রাজাতির অধিক দেশি ও বিদেশী জাতের চারা এবং বিভিন্ন গাছ থেকে কলম (গ্রাফটিং) চারা উৎপাদন করছেন। চলতি মৌসুমে উপজেলা থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার চারা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। তার কাছে সব ধরণের চারাগাছ রয়েছে। তার উৎপাদিত চারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, দেশের খাদ্য উৎপাদনে নার্সারির ভূমিকা অপরিসীম। পাইকগাছার নার্সারী শিল্প খুলনা জেলার শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে। এ এলাকার চারার মান ভালো। নার্সারী ব্যবসায়ীরা চারা বিক্রি করার জন্য আশানুরূপ বাজার ধরতে পারায় তারা লাভবান হচ্ছেন। নার্সারীতে উৎপাদিত চারা সবুজ বনায়ন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।