প্রকাশ: বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩, ২:৫৭ পিএম আপডেট: ১৬.০৮.২০২৩ ৩:০২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামানকে হত্যার হুমকি দিয়ে জামায়াত ইসলামী তাদের সন্ত্রাসী চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর আগে তাকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন ডা. মোস্তফা জামান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক এস এম মোস্তফা জামান গতকাল রাতে আমার কাছে এসেছিলেন। তিনি সব ঘটনা বলেছেন। আমরা এটাও প্রত্যক্ষ করেছি, তিনি একজন চিকিৎসক হিসেবে সেবা দান করেছেন। তার (সাঈদী) চিকিৎসা করেছেন। তারপরও ওই চিকিৎসককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এটা আমার কাছে আশ্চর্য লাগে।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, তারা (জামায়াত) যে নোংরা চিন্তা করে, তারা যে সব সময় সন্ত্রাসী চিন্তা করে, তারা যে সব সময় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চিন্তা করে, তারই একটি প্রতিফলন বোধহয় এই হুমকির মধ্য দিয়েই জামায়াত জানান দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই চিকিৎসক রাজধানীর ধানমন্ডি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
ধানমন্ডি মডেল থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জিডিতে ভুক্তভোগী চিকিৎসক জামান উল্লেখ করেন, তিনি বিএসএমএমইউতে হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। রোববার (১৩ আগস্ট) রাতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী অসুস্থ অবস্থায় বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন। বিএসএমএমইউয়ের হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাঈদী।
সোমবার (১৪ আগস্ট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাঈদী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসক জামান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের একজন সদস্য হিসেবে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ইউটিউবে বিভিন্ন আইডি থেকে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
জিডিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি বর্তমানে কতিপয় ব্যক্তিদের আচরণে ভীত-শঙ্কিত। কয়েকটি ফেসবুক ও ইউটিউব পেজের ব্যবহারকারী এবং তাদের অনুসারী ব্যক্তিরা যেকোনো সময় আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের খুন জখমসহ বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
এ কারণে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি জিডি করেন তিনি।