প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩, ৫:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার ফেস্টুন লাগাতে গিয়ে সরকারি বি.কে নগর বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিহান আহমেদ আল-আমিন স্থানীয় কিশোর গ্যাং দ্বারা আহত হয়েছে। আহত জিহান আহমেদ আল-আমিন উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের কাউয়াদি গ্রামের আজিজুল বেপারীর ছেলে।
জানা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর-০১ আসনের সাবেক এমপি বিএম মোজাম্মেল হকের ছবি দিয়ে জাতীয় শোক দিবস ১৫ই আগস্ট এর ব্যানার টানানোর জন্য রবিবার (১৩জুলাই) রাত ১১টার সময় আরাচণ্ডী মোড়ে গেলে সেখানে ওৎপেতে থাকা স্থানীয় কিশোর গ্যাংদ্বয় হামলা করে ও মেরে ফেলার জন্য চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে, হাতুড়ি,রড় দ্বারা আঘাত করে। এসময় তিনি মাথায় আঘাত পায়। তাকে বাচাতে গিয়ে সাথে থাকা ভ্যান ড্রাইভার তারা মিয়া ব্যাপারীও আহত হন। তার সহযোগীতার কারনে আল-আমিনকে প্রাণে মারতে পারেনি সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে আল-আমিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করেন। এবং আহত অটো ভ্যান চালক তারা মিয়াকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত জিহান আহমেদ আল-আমিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি গতকাল রাতে আড়াচন্ডি মোড়ে ব্যানার ফেস্টুন লাগাতে গেলে সেখানে অটোভ্যান ভর্তি ১০-১৫ জন স্থানীয় কিশোর গ্যাং আমার উপরে হামলা করে।
হামলাকারীদের পরিচয় জানতে গেলে তিনি বলেন, সামাউন চৌকিদার (১৮) পিতা- আলমগীর চৌকিদার, ফরহাদ চৌকিদার (২০) পিতা- সোহরাব চৌকিদার, শাহাজালাল (২০), পিতা-সোবাহান চৌকিদারসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১৫ জন মিলে আমাকে মেরে ফেলার জন্য হামলা করে।
এ বিষয়ে জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উক্ত ঘটনায় জাজিরা থানায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। উক্ত ঘটনায় জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।