বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে দেখছে না বেইজিং। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লাইয়কে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী অ্যাখ্যা দিয়ে চীনা ভূখণ্ডে সংকট তৈরির কারণ উল্লেখ করেছে। তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড বিবেচনা করে বেইজিং। ফলে এখানকার কোনও কর্মকর্তার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধির সাক্ষাৎকে সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে দেশটি।
আগামী জানুয়ারিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে শনিবার দেশ ছাড়েন তিনি। আগামী বুধবার তাইপে ফেরার পথে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোয় ট্রানজিট রয়েছে তার।
নির্ধারিত ফ্লাইটে লাই নিউইয়র্কে অবতরণের পর রবিবার (১৩ আগস্ট) এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনও সফরের কঠোর বিরোধিতা করে বেইজিং। পুরো ঘটনা চীন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দৃঢ় ও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
নিউ ইয়র্কে হোটেল পৌঁছানোর সময় লাইয়ের উদ্দেশে পতাকা নেড়ে স্বাগত জানান সমর্থকরা। কিছুক্ষণ পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লেখেন, নিউ ইয়র্কে বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মুখিয়ে আছি।
এই সফরে কোনও মার্কিন আইনপ্রণেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে বলে জানা গেছে।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়া অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করে মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে তাইপে ছাড়েন তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট। সফরকে কেন্দ্র তাইওয়ান প্রণালীর চারপাশে সামরিক তৎপরতা বাড়াতে পারে চীনা বাহিনী। পূর্বে তাইওয়ানে মার্কিন কর্মকর্তাদের উপস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় যেমনটি দেখিয়েছিল তারা।