আল-খালিদির বরাত দিয়ে ওয়াফা নিউজ লিখেছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ‘যা শক্তিশালী ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে অবদান রাখবে এবং দুই দেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে আবদ্ধ করবে’।
ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক তালাল ওকাল বলেন, এই কূটনৈতিক নিয়োগ অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি সরকারি সৌদি প্রতিনিধিত্ব অফিসের দিকে অর্ধেক পথ এগিয়ে যাওয়া।
একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানাতে সৌদি আরব যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, রাষ্ট্রদূত নিয়োগকে সেই প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকার বার্তা বলেই মনে করেন এই বিশ্লেষক।
কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ইসরায়েল ও দুই পারস্য উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। যেটি ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’ নামে পরিচিত। সৌদি আরব নিরবে ওই চুক্তির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি বলেছিলেন, আব্বাসের পশ্চিমা-সমর্থিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কের সম্ভাব্য স্বাভাবিককরণ নিয়ে তাদের উদ্বেগের বিষয়ে তারা সৌদি আরবের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আশা করছেন।
ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন খোদ ইসরায়েল, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। বলেছেন, এজন্য এখনো বেশ খানিকটা পথ চলা বাকি আছে। বিশেষ করে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে বাড়তে থাকা নৃশংসতা এবং সৌদি আরবের বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য পারমাণবিক শক্তির উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার মত কিছু বিষয়ে বিভেদ দূর হওয়া এখনো বাকি।