প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩, ৯:৪৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দীপুকে গ্রেফতার করেছে সদও থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড কাঁচাবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। থানা পুলিশ ও জেলা বিএনপি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মানিকগঞ্জ সদর থানা-পুলিশ জানান, গত ১৫ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম দাশড়া এলাকায় অন্যান্য আসামিদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছিলেন কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু। ওই বৈঠকে বিদ্যুৎ অফিসে হামলা, জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার লক্ষ্যে ও নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চেষ্টার পরিকল্পনা করা হয়। এমন অভিযোগে পরের দিন (১৬ জুলাই) বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। এর পর বৃহস্পতিবার রাতে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড কাঁচবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতা করা হয়।
জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এস.এ জিন্নাহ করিব জানান, ঐ মামলায় চারজনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছিল। এজাহারে যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দীপুর নাম উল্লেখ ছিল না। অথচ এই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপুকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপুর বিরুদ্ধে সরকারের সকল মিথ্যা মামলায় আদালত থেকে জামিনে থাকা সত্ত্বেও ষড়যন্ত্র ও হয়রানি মুলক ভাবে আটক করা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে আওযামীলীগ সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, এজাহারে নাম না থাকলেও পরবর্তীতে তদন্তে কাজী মোস্তাক হোসেন দীপুর সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতে আসামিকে হাজির করলে আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।