প্রকাশ: শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩, ২:৫৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১টি ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে। ড্রেজার মালিককে করা হয়েছে ১০'লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬'মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। অভিযুক্ত ড্রেজার মালিক সুলতান মিয়া (৫৫) উপজেলার চাঁনপুর এলাকার জব্বার মিয়ার ছেলে।
গতকাল উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে রায়পুরা-নবীনগর মেঘনা নদীতে ডিলিমিটেশন করতে গিয়ে রায়পুরা সীমানায় একটি ড্রেজার মেশিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম।
এ সময় নবিনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোমেন সরকার ও পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম জানান, “মেঘনা নদীতে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার একটি মৌজাতে বালু মহাল ইজারা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে খবর পাই বেশকিছুদিন ধরে ওই মৌজা সীমানা ছাড়িয়ে রায়পুরার চাঁনপুর সীমানা থেকে তাঁরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ ধারায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। একই সাথে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার মেশিন জব্দ করি। জব্দকৃত মালামাল ওই এলাকা থেকে সরিয়ে রায়পুরার পান্থশালা ঘাটে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। রায়পুরা উপজেলায় বৈধ বালু মহাল নেই। ডিসি স্যার ও ইউএনও স্যার এ বিষয়ে জিরু টলারেন্স নীতিতে রয়েছেন। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের নজরদারির পাশাপাশি নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।” এমন সাহসী ভুমিকায় এসিল্যান্ডের প্রশংসা করছেন সাধারণ মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর হোসেন জানান, ড্রেজার মেশিন জব্দসহ মালিককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি এখনো টাকা জমা দিতে পারেননি। যদি জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। তবে জব্দকৃত ড্রেজার নিলামে বিক্রির মাধ্যমে উক্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করা হবে।